অদম্য সাহসী করোনা যোদ্ধা আনোয়ার হোসেন

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ থেকে অদম্য সাহসী এক করোনা যোদ্ধা আনোয়ার হোসেন। সারাদেশের মানুষ তাকে এখন এ নামেই চিনে।

তিনি দেশের আলোচিত ফ্রন্ট লাইনের করোনা যোদ্ধা ‘টিম খোরশেদ ‘এর সদস্য।
দেশে মহামারি কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত হবার পর
নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে করোনা আতংকে যখন ভীত
হয়ে উঠেছিলেন সেই সময়ে তিন পথে নেমে এসেছিলেন।
তৈরী করেছেন মানবিকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত ।
মরদেহ দাফন বা সৎকার যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছিলো তখন তিনি কাজ শুরু করেছিলেন মানুষের জন্য। সকল ধর্মের, সকল অংশের মানুষের পাশে তিনি সবল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
হাসপাতালে নেয়াসহ দাফন, কাফন, কবর খনন থেকে মরদেহের গোসল করানোসহ মরদেহ সমাহিত বা সৎকার সব ই করছেন তিনি জোর কদমে।
টিম খোরশেদ এর নেতৃত্বে আনোয়ার হোসেনের মতন সাদা মনের ও নিরহংকার, সদা হাস্যজ্জল মানুষরাই
গোটা দেশকে দেখিয়েছেন সাহসের সৎ পথ তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই!

তিনি দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে করুণা রোগীর সংক্রমণ সংখ্যা এবং মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে গেলে তিনি প্রতি দিন-রাত এককরে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ান।

তাদের টিম খোরশেদ এর অন্যতম স্লোগান” আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের আপনজন” সেই স্লোগান বুকে ধারণ করে তিনি ও করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন বিগত দেড় বছর ধরে।
এখন তিনি খানপুর ৩০০শয্যা হাসপাতালের প্রত্যেক রোগীর খুব নিকট আত্মীয়, স্বজন হয়ে উঠেছেন।রোগী এবং রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা আনোয়ার হোসেন আনুর সেবায় সন্তুষ্ট এবং তার প্রতি আস্থাশীল বলে জানা যায়।

এ প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন করোনা রোগীদের সেবা করা এখন তার নেশায় পরিণত হয়েছে।
তাদের সেবা করতে পেরে তিনি মনে পরম তৃপ্তি পান।
তার মতে এই করোনাকাল হয়তো এক সময় থাকবে না।
তখন তাকে হয়তো সেই কাজ করতে হবে না। তাই তিনি
এই কাজ করে যেতে চান যতদিন এ সংকট থাকবে।

তিনি বলেন, করোনা রোগীরা এখন আমার পরম আত্মীয় হয়ে উঠছেন। তাদের সাথে দেখা না করলে কথা না হলে বা হাসপাতালে না গেলে আমার ভালো লাগেনা। আমার রক্তে এক নেশা জমেছে করোনা রোগীদের সেবা করার ।

আনোয়ার হোসেন এর তিন সন্তান এরমধ্যে বড় মেয়ে মহসিনা আক্তার সিঁথি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, ছেলে সাব্বির হোসেন মাহিম ৮ শ্রেণীতে এবং ছোট মেয়ে সাদিয়া হোসেন ৭ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত।
তার স্ত্রী সেলিনা আনোয়ার রাজলক্ষ্মী নারায়ণগঞ্জ শহরের পরিচিত সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মী।
তাদের বসবাস নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান