বন্দর প্রতিনিধিঃ রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতার হাত ধরে খোলস পড়া মদনপুর ইউনিয়ন ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছেন মাফিয়া আক্তার তানিয়া। যিনি বন্দর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের একজন সাধারন কর্মী।
গত সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি আরজু রহমান ভুইয়ার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। নিজের জানমাল বিসর্জন দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মাফিয়া আক্তার তানিয়া। বলতে গেলে আরজু রহমান ভুইয়ার মাঠ পর্যায়ের একজন ছত্রছায়া কর্মী ছিলেন। সেই সাথে ফেইসবুক ছড়ানো মা-মেয়ের টিকটক পরিচিতি ও বটে। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রের রুপ ধারন করায় মদনপুর ইউনিয়ন ত্যাগী নেতৃবৃন্দ তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।
এমনকি আরজু রহমান ভুইঁয়া দলীয় পদ পাওয়ায় যখন তার বাসায় ফুল দিয়ে বরন করত যান তখন ফুল নিতে অস্বীকার করেন জনাব ভুইয়া। তাতে দুঃখে ভারাক্লান্ত মন নিয়ে নিজেকে অপমানিত বোধ করে কেঁদে কেঁদে ফিরে যান। তারপর থেকে আরজু রহমান ভুইয়ার সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ করেন। সেখান থেকে ব্যার্থ হয়ে থানা আওয়ামিলীগ সভাপতি রশিদ চেয়ারম্যানের সান্নিধ্যে লাভে ও ব্যার্থ হন। এভাবে একের পর এক ব্যার্থ হয়ে অবশেষে মদনপুর ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজ্বী এম এ সালামের নৈকট্য লাভ করেন।
বিশালাকৃতির ফুলের মালা দিয়ে সালাম চেয়ারম্যানের মন জয় করে নিজেকে একজন কর্মী লাভ করেন। নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন বন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে। অবশ্য দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচন থেকে ছিটকে পরেন। শুরু হয় তার রাজনৈতিক পরিচয়ের পরিচিতি ভাটা। তাই আবার মদনপুর ইউনিয়ন ৪,৫,ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে “বক” প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তবে সাধারন জনগনের অভিমত মাফিয়া আক্তার তানিয়া একজন টিকটক জগতের ফ্যাশন নেত্রী। তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
তাছাড়া ব্যাবসা ও পারিবারিক কাজে প্রায় সময় ঢাকা অবস্থান করেন। সুতরাং জনগন এমন একজনকে নির্বাচন করবে যাকে সার্বক্ষনিক পাশে পাবে। তবে মাফিয়া আক্তার তানিয়া বলেন যেখানে আরজু রহমান ভুইঁয়া আছে সেখানে পাশ করা অতি সহজ। কারন আরজু ভুইয়া একজন হেভিওয়েট আওয়ামীলীগ নেতা।তাছাড়া আমি আশাবাদী আলহাজ্ব গাজ্বী এম এ সালাম চেয়ারম্যান অবশ্যই আমার নির্বাচন করবে।