ঈদুল ফিতর”কে সামনে রেখে দুমকিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার,ক্রেতাদের অভিযোগ দাম বেশী

মোঃ রাকিবুল হাসান, দুমকি থেকে,দুমকী পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ আর ১২ দিন বাদে ঈদুল ফিতর। ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতির বড় অংশজুড়ে পোশাকেরই রাজত্ব।এবার পয়লা বৈশাখ ও ঈদ কাছাকাছি হওয়ায় রোজার শুরু থেকেই ফুটপাত, ছোট-বড় কিংবা বিলাসবহুল বিপণিবিতান ও ফ্যাশন হাউসে বিক্রি শুরু হয়। ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়ছে। কয়েক বছর ধরেই ঈদের পোশাক কেনায় দুমকী’র ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় দেশীয় পোশাকের ব্র্যান্ড ও ফ্যাশন হাউসগুলো শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে।গতকাল রবিবার দুমকীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে ক্রেতাদের ভীর বাড়ছে।তার মধ্যে তার মধ্যে দুমকী পীরতলা ও দুমকী নতুন বাজারে বইছে বেচাকেনার ধুম। সালোয়ার কামিজ, থ্রি পিস, পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি ও বোরকার নানান ডিজাইনের কাপড় পাওয়া যায় এখানে।রয়েছে দেশি-বিদেশি খ্যাত-অখ্যাত ব্র্যান্ডের কাপড়ও।তাই ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এইবাজার এখন জমজমাট।এখানকার দোকানগুলোতে রয়েছে ছাপা শাড়ি, কম্পিউটারে ডিজাইন করা শাড়ি, হাতে রঙ করা শাড়ি, বোরকা, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি সহ নানান ডিজাইনের থ্রি পিস। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর ঈদের বাজারে মেয়েদের দেশি সুতি থ্রি-পিসের সঙ্গে ভারতীয় নায়রা ,অরগেনজা, জয়পুরি ও পাকিস্তানি ঐতিহ্যবাহী বারিশ আনস্টিজ থ্রি -পিস ও শারারা-গারারা বেশি বিক্রি হচ্ছে।পীরতলা বাজার পোশাকের দোকানগুলোতে মান ও কাজ ভেদে ৬৫০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকায় মিলছে দেশি থ্রি পিস। ১২০০ টাকা থেকে ৫০০০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে নানান রকমের শাড়ি। সেলাই ছাড়া থ্রি পিস মিলছে ৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। নানা কারুকাজ ও বাহারি রঙের পাঞ্জাবি নেওয়া হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত।এবারের বিক্রি কেমন? এমন প্রশ্নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।কেউ বললেন, এবার বিক্রি ভালো, তবে মোটা দাগে নয়। আবার কেউ বললেন, সন্তোষজনক নয়।করোনার কারণে বিগত বছরগুলোতে তাঁদের লোকসান হয়েছে। তবে এবার রোজার শুরু থেকেই দোকানে ক্রেতার উপস্থিতি ভালো। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, বিক্রিও ততই বাড়ছে।তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদার সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা দাম বেশি নিচ্ছেন। জলিশা থেকে কেনাকাটা করতে আসা দেলোয়ার হোসেন জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম অনেকটাই বেশি,এদিকে অধিকাংশ ক্রেতাদের অভিযোগ পন্যের নির্ধারিত দামের তুলনায় ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে । তবে কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি মনে হচে

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান