কলাপাড়ায় চাঁদা’র অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন
- আপডেটঃ ১১:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
- / 133
কলাপাড়ায় চাঁদা’র অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মালেক আকন ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী মোঃ আবু হানিফ।
রবিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব’র ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান মিলনায়তনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এবিষয়ে মালেক আকনকে প্রধান করে ১২ জনকে আসামী করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আবু হানিফ বলেন, তিনি উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মহিপুর মধ্যবাজারের একজন ব্যবসায়ী। মহিপুর বাজারে সোহান নামক একটি আবাসিক হোটেল তৈরী করে সুনামের সহিত দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। মহিপুর বন্দরে কারিতাস ভবনের দক্ষিন পাশে হাইওয়ে সংলগ্ন ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে তিনি ও তার ভাই ইব্রাহীম ভোগদখল করে আসছে। সেখানে ৫ তলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ফলে, চক্ষুশুল হয়ে ওঠে চাঁদাবাজদের।
কলাপাড়ায় চাঁদা’র অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মালেক আকন, লাদেন ওরফে সত্তার, রুহুল আমিন ওরফে দুলাল ডাক্তারসহ আরো কয়েকজন একত্রিত হয়ে তার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে তাদের অপর এক সঙ্গী ইউনুস হাওলাদারকে দিয়া তার নামে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং সিআর ৮৩০/২০২৩।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ওই মামলাটিকে মিথ্যা বলিয়া আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন।
তবে, ওই রিপোর্ট দাখিলের পরে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে ভবনের পাশে অবস্থিত তাদের রাইচ মিল ও তেলের মিল বন্ধ করে দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা দিতে অস্বিকার করলে তাকে মারধর করে গুরুত্বর ফুলা ও জখম করে। এসময় লাদেন সত্তার তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা নিয়া যায়। ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে তারা দাবিকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে সাধারন মানুষসহ ব্যবসায়ীরা। চাঁদা না দিয়ে কেহ বিল্ডিং নির্মাণসহ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছেন না। এসকল চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ভূক্তভোগী।
এ ব্যাপারে আবদুল মালেক আকন জানান, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যে বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক অভিযোগ করা হয়েছে।