বাউফল প্রতিনিধীঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাণিজ্যকেন্দ্র কালাইয়া হাটের ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফলে আগামী বছর সরকার প্রায় ১ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলা ১৪৩০ সনের জন্য কালাইয়া হাট ইজারা দেয়ার লক্ষে দরপত্র আহবান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এবার কালাইয়া হাটের সরকারি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৫০ হাজার ২০১ টাকা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারী সিডিউল জমা ও বিক্রির শেষ দিন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মোট ৩টি ফরম বিক্রি হয়। এরমধ্যে ১ টি ফরম ক্রয় করেন বাউফলের এমপি আসম ফিরোজের ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা। আর অপর ২ টি ফরম ক্রয় করেন বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের চাচাতো ভাই কামাল হোসেন ও মেয়র সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতা খিজির হায়াত বিশ্বাস।
অভিযোগ উঠেছে, দরপত্র দাখিলের আগে ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে মেয়রের ভাই কামাল ও খিজিরের কাছ থেকে ২ টি ফরম ক্রয় করে নেন এমপির ভাতিজা ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা। এরপর খিজিরের নামে কেনা ফরমে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা এবং ফয়সালের নামে কেনা ফরমে ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দর লিখে ২ টি ফরম দাখিল করা হয়। কামাল হোসেনের নামে কেনা বাকী ফরমটি দাখিল করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়,
১৪২৯ সনে কালাইয়া হাট ২ কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার টাকায় ইজারা নেন এমপির ভাতিজা ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা। তখন মেয়রের ভাই কামাল হোসেন ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকায় দ্বিতীয় দরদাতা ছিলেন। একই দরদাতা এবার সমঝোতা করে দরপত্র দাখিল করায় সরকার প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মেয়রের ভাই কামাল হোসেন বলেন, আমার ফরমটি দাখিল করিনি। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দর দিয়ে খিজিরের ফরম দাখিল করেছি। ৪০ লাখ টাকা নিয়ে ফরম বিক্রির বিষয়টি সত্য নয়। এমপির ভাতিজা কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা বলেন, গত বছর জেদাজেদি করে দর তুলেছি। এতে আমার কয়েক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। আবারো লোকসান দেয়া সম্ভব নয় বলে এবার সরকারি মূল্যের চেয়ে ২ লাখ টাকা বেশী দাম দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার দর কম উঠেছে। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হবে। এখনও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। তবে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।