খানাখন্দে ভরা সড়ক, ভোগান্তিতে বাউফল
উপজেলার আদাবাড়ীয়া কাশিপুর
খানাখন্দে ভরা সড়ক, ভোগান্তিতে বাউফল আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাশিপুর বাজার সহ এলাকাবাসী খানাখন্দে ভরা সড়ক।( ছবি কাশিপুর বাজারের)
বাউফল উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাশিপুর বাজার থেকে বাউফল ও দশমিনা দুই উপজেলা সড়কের মেইন রাস্তা, বুদবুদযুক্ত কাদা মাটি আর খানাখন্দে ভরা,বাউফল ও দশমিনা এই দুই উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে চলাচল হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
রবিবার ( ২মার্চ) বাউফল আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাশিপুর বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কাশিপুর থেকে মিলঘর বাজার সহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ সড়কে বর্ষাকালে পায়ে হেঁটে চলাচলের কোনো সুযোগ নেই।
দীর্ঘদিন সংষ্কার না হওয়া, সড়কের নিচ দিয়ে রাস্তার জমানো বৃষ্টির পানির লাইন, এবং রাস্তা সংষ্কারবিহীন ফেলে রাখায় ভোগান্তি ক্রমশ বাড়েই চলছে।
সম্প্রতি বাউফল আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাশিপুর বাজারের মোড়ে কথা হয় ফলব্যাবসায়ী খায়রুল মীর,ও ছাত্র লীগের নেতা রেজাউল হাওলাদার এর সঙ্গে তিনি বলেন, মাসিক দোকানভাড়া পাঁচ হাজার টাকাও আয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
সড়কের এমন বেহাল অবস্থার কারণে চলাচল বন্ধ। বেচা-কেনা নেই। সড়কের আশপাশে যারা বাসা ভাড়া থাকতেন তারাও অন্যত্র চলে গেছেন। গত দেড় বছর ধরে ব্যবসায় লোকসান গুণতে হচ্ছে। একদিকে জনবহল সড়কে চলাচল বন্ধ।
তিনি আরও বলেন, এটি বাউফল কালাই ও দশমিনা সড়ক দুটি উপজেলার মানুষ চলাচল করে । দুই বছর আগেও সড়কে কষ্ট করে মানুষ চলাচল করত। কিন্তু, গত এক বছর একেবারেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাশিপুর বাজার থেকে মিলঘর বাজার পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক নিয়ন্ত্রণাধীন। গত প্রায় আট বছর ধরে ওইসব সড়কগুলো সংষ্কার করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বসত-বাড়ি নির্মাণ করায় সড়কটি ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। কাশিপুর বাজারে পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেন না থাকায় পানি সড়কে জমে থাকছে। প্রতিদিন এ সড়কে পাঁচ হাজার মানুষ চলাচল করতেন। অচলাবস্থার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
বাউফল উপজেলা কার্যালয় ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের জন্য সড়কটি গুরুত্বপুর্ণ হলেও কাশিপুর বাজার বাউফল উপজেলার একটিঅংশ এ সড়কটি নির্মাণে কোনো গুরুত্ব নেই। কাদায় নিমজ্জিত থাকা সড়কটি দেড় বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকলেও সংষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা কর্তৃপক্ষ ও ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এসব কাঁচা সড়কে দীর্ঘদিনেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তবে নির্বাচন আসলে সাধারণ মানুষের ভোট নেওয়ার জন্য কয়েক গাড়ি বালু দেয় নির্বাচনীয় প্রাথীরা।
এক সময় ছিল পাকা রাস্তা, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এক সময়ের পিচ ঢালাই সড়ক এখন মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কের পিচ উঠে মাটির সড়ক হয়েছে। এখন আর বোঝার উপায় নেই এখানে এক সময় পাকা রাস্তা ছিল। বর্তমান অবস্থা এতটাই খারাপ যানবাহন তো দূরের কথা পথচারীও হেঁটে যাতায়াত করতে পারছে না।
সরেজমিনে কথা হয় কাশিপুর বাজারের অটোরিকশাচালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাটির রাস্তা হলেও কষ্ট করে রিকশা চালানো যায়। কিন্তু, এ সড়কের অংশে বড় বড় খানাখন্দে বৃষ্টির পানি আর কাদা জমে। ফলে রাস্তায় ভারী যানবাহন, ভ্যান-রিকশা দূরের কথা এখন আর পায়ে হেঁটেও পাড়ি দেওয়া যাচ্ছে না। রাস্তাটি দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে এক সময় পাকা পিচঢালাই রাস্তা ছিল।
ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী সবুজ, হারুন,দলাই,জামাল বলেন, প্রতিদিন সড়কে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতেন। অচলাবস্থার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলে দোকানে পানি ঢুকে। রাস্তা আর দোকানের মেঝে সমান হয়ে গেছে। কোনো মানুষ ভুল করে এ সড়কে ঢুকে গেলে দোকানের ওপর দিয়ে পারাপার হয়। আর মানুষ চলাচল না করলে বেচাকেনা বন্ধ। বিগত কয়েক বছর ধরে বহু কষ্টে দিন যাপন করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার রাড়ী,সবজি মল্লিক বলেন, এটি বাউফল আদাবাড়ীয়া কাশিপুর বাসীর যাতায়াতের জন্য অন্যতম প্রধান সড়ক। অথচ সড়কটির অনুপযোগী অংশের দুই পাশের ভালো রাস্তার সফল ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না। প্রায় দেড় বছর আগে এ সড়কের নিচ দিয়ে পানি গড়াইয়া পরে রাস্তায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কের পাশে কমপক্ষে ২০ মাছের দোকান রয়েছে। এলাকাবাসী ছাড়াও ওইসব দোকানে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এবিষয় আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনজুরুল আলম হাওলাদার এর সাথে বাংলার শিরোনাম পত্রিকার সম্পাদক, যোগাযোগের চেষ্টা করেন,এবং তার ফোন নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।