কলাপাড়া( পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সৈকতে টানা ছুটিতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়। বেশির ভাগ হোটেল মোটেল ও কটেজে কক্ষ খালি নেই। দূর দূড়ান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা হোটেলের রুম খালি না পেয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষের বাসা-বাড়িতে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল মালিকরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন বলে দাবি পর্যটকদের। বাড়তি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সমুদ্র সৈকত থেকে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূযাস্ত। এছাড়াও সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানীর অপার ছোয়া আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরন ও অতিথি পাখির ঝাঁক দেখতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসে দেশী বিদেশী পর্যটকরা। কিন্তু টানা এক সপ্তাহের ছুটিতে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে পরছেন বিড়ম্বনায় এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরেও হোটেল কটেজে সিট খালি না পেয়ে কেউ কেউ থাকছেন আশপাশের বাড়ি গুলোতে। আবার কেউ গাড়িতে করে মৎস্য বন্দর ও উপজেলা শহর কিংবা জেলা শহরে গিয়ে হোটেল নিয়ে থাকছেন। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক তানিয়া আক্তার বলেন, ঢাকা থেকে খুব কম সময়ের ভিতর কুয়াকাটা এসেছি কিন্তু কুয়াকাটা এসে অনেক হোটেলের সামনে সামনে ঘুরছি কিন্তু কোথাও কোন হোটেলের কক্ষ খালি এখনো পাইনি। পাবো কিনা তাও জানিনা। সৈকত হোটেল মালিক শেখ জিয়াউর রহমান বলেন,আগে এই মওসুমে হোটেলে সিট খালি পরে থাকতো। পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় হঠাৎ করেই পর্যটকের চাপ বেড়েগেছে। যার কারণে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে নতুন করে হোটেল-মোটেল বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে।টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিউন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন,পর্যকদের নিারপত্তায় সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি পোশাকে এবং সাদা পোশাকে টুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের নজরে থাকবে যাতে কোন পর্যটক কুয়াকাটা এসে কোন বিপদে না পড়তে হয়।
কোন হোটেলে বাড়তি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। যারা সাঁতার জানেনা তারা সমুদ্রের নামা থেকে বিরত থাকবে।পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় কমে এসেছে ঢাকা-কুয়াকাটার দূরত্ব। আগে যেখানে ১০-১২ ঘন্টা সময় লাগতো। সেখানে এখন সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। তাই পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারছেন খুব সহযেই।
###
কলাপাড়া প্রতিনিধি।
০৮/১০/২০২২