মোঃ রাকিবুল হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী দুমকি উপজেলায় গোরস্তানের দেয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে সুলতান শরীফ গং ও সোহরাব শরীফ গংয়ের মাঝে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে চাচা সোহরাব শরীফ(৫৬) অপর পক্ষের ভাতিজা মিজান শরীফ ওরফে নিজাম (৩০) দু’জনেই আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়েছন।
গতকাল(১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জলিশা গ্রামের মৃত. ওসমান শরীফ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ওই দিন রাতে জমা-জমির পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোহরাব শরীফের ছেলে মামুন শরীফ দেয়ালে লাথি মারলে ইট খসে সুলতান শরীফের ছেলে মিজান শরিফ ওরফে নিজামের পায়ে পড়ে আহত হন। এনিয়ে দু’গ্রুপের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে রাত ৯টার দিকে আনোয়ার শরীফের ঘরের সামনে মামুন শরীফ বিপক্ষ গ্রুপের মিজান শরীফ ওরফে নিজামকে হঠাৎ লাকড়ি দিয়ে পিঠে আঘাত করেন। অপরদিকে কে বা কাঁহারা তার চাচা সোহরাব শরীফের মাথায় পেছন থেকে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রাতে কেন দেয়াল নির্মাণ করতে গেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মিজান শরীফ ওরফে নিজাম বলেন, এ বিষয়ে সুরাহার জন্য সালিশে”রা বারবার তারিখ দিলেও সুলতান শরীফ গং আসেন না। পাশেই আমাদের নির্মাণ শ্রমিক সারাদিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় ওই দেয়ালটুকুর কাজ করাতে গেলে মামুন ও তার স্ত্রী মুক্তা(৩০) খবর দিয়ে পুলিশ আনেন। সেই পুলিশের উপস্থিতিতেই মামুন নির্মাণাধীন দেয়ালে লাথি মেরে ভেঙে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার শরীফ বলেন, আমি দু’জনকেই (মামুন ও নিজামকে) ছাড়িয়ে দিয়েছি।
সুলতান শরীফের আপন ছোট ভাই মজিবর শরিফ জানান, আগে পুকুর ছিল। ওই পুকুরের পাড়ায় আমার বড় ভাইয়ের ছোট ছোট দু’টি বাচ্চার কবর আছে।
ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং তৎকালীন মননীত সালিশ সৈয়দ বাদল হোসেন বলেন, চলাচলের পথ ও পুকুরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
ওই জায়গায় কবর আছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে যখন সালিশেরা পথ রেখেছিল তখন সুলতান শরীফের লোকজন ওখানে যে কবর আছে সে কথা বলেনি। আসলে ওখানে কবর আছে কিনা তা আমার জানা নেই।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আবুল বাশার বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।