দুমকিতে টানা বর্ষণে পানির নিচে বীজতলা, আমন আবাদে বিপর্যয়ের শঙ্কা

- আপডেট সময় : ১১:৫৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ৭৯০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ রাকিবুল হাসান,(দুমকি থেকে) দুমকী(উপজেলা)প্রতিনিধিঃ টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও প্রবল জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমনের বীজতলা তলিয়ে আছে। এতে বীজ পঁচে যাওয়ার শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন দুমকীর কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৬ হাজার ৬শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।আর জমিতে বীজ বপনের উদ্দেশ্যে ৪শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন।
এছাড়াও শ্রাবনের শেষের দিকে অনেক কৃষকই আমনের ক্ষেত তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিলেও জলাবদ্ধতার কারণে তা পারছেন না। বীজ পঁচে গেলে কৃষকদের বেশি দাম দিয়ে বীজ কিনে জমিতে রোপন করতে হবে। কৃষকরা জানান, বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হতো না যদি জোয়ারের এত চাপ না থাকতো।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রাজাখালী, চরবয়েড়া, সন্তোষদী, দক্ষিণ মুরাদিয়া, জলিশা, জামলা, সাতানী, লেবুখালি, কার্তিকপাশা, বাঁশবুনিয়া, আলগী,, হাজীরহাটসহ আরও অনেক অঞ্চলে জলাবদ্ধতায় বীজতলা ডুবে রয়েছে। উঁচু স্থানের বীজতলা কিছুটা ভালো থাকলেও নিচু স্থানের বীজতলার বীজ জলাবদ্ধতায় পানির নিচে ডুবে রয়েছে ।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন, মান্নান সিকদার, মতলেব খান, শামীম মৃধা, সরোয়ার তালুকদার, মিজান খলিফা, মজিবর গাজী,বীরবল শীলসহ আরও অনেকে জানান, তারা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বীজ পানির নিচে ডুবে আছে। দু’একদিনে পানি না নামলে বীজ সম্পূর্ণ পঁচে যাবে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করার এখন আর হাতে সময় নেই। বীজ এভাবে পঁচে গেলে এ বছর অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে এবং লোকসানের ঘানি টানতে হবে তাঁদের।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে দুমকীর নিম্নাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকাই ডুবে রয়েছে । তবে দ্রুত পানি সরে গেলে বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ উপজেলার কৃষকেরা প্রধানত আমনের ওপর নির্ভরশীল। এভাবে যদি বৃষ্টিপাত চলতেই থাকে আর জোয়ারের পানি দ্রুত না নামে তবে বীজতলার ব্যপক ক্ষতি হতে পারে।