দুমকিতে বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটিতে তারিখে ভুল, সামাজিক মাধ্যমে চলছে তুমুল বিতর্ক!
মোঃ রাকিবুল হাসান, (দুমকি থেকে)
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত পূর্নাঙ্গ কমিটিতে আহবায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তারিখে ভুলের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেখা যায়, উপজেলা উপজেলা বিএনপির প্যাডে উক্ত কমিটি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দলের এক ব্যক্তি অপর কমিটিতে থাকার পরও তাকে উক্ত কমিটিতে তালিকাভুক্ত করে কমিটি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে।
গতকাল(০৪মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পোস্ট থেকে ওই কমিটির শেষ পাতায় দেখা যায়, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া ইংরেজিতে ২৭/০৪/২০২৫ তারিখ লিখেছেন ও সদস্য সচিবের স্নেহাংসু সরকার কুট্টি বাংলায় ২৭/০৪/২০২৭ তারিখ লিখে স্বাক্ষর করে দুমকি উপজেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়াও দেখা যায়, সর্বশেষে ১১১-কমিটি অনুমোদন দেওয়া হইলো মর্মে লেখা রয়েছে।
তৃণমূল কর্মীদের দাবি, জেলার নেতৃবৃন্দ গ্রুপিংয়ের কারনে ও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই মাইম্যান নিয়ে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে এমন কমিটি দিয়েছেন। তাই এক ব্যক্তির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে একাধিক পদ পদবি রয়েছে, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী ব্যক্তিদেরও নাম উক্ত কমিটিতে আছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আহসান ফারুক বলেন, এ কমিটিতে অনেকেই আছেন যাদের কোন মিটিং মিছিলে আমি দেখিনি। গ্রুপিংয়ের কারনে তারা পদ পেয়েছেন। কেউ ব্যবসা করেন, কেউ ঔষধ কম্পানিতে চাকরি করেন। নাম ধরে ধরে বললে অনেকেই বলবেন আমাদের বিরুদ্ধ করে।
এ কমিটি যারা দিয়েছে তাদের ধিক্কার জানিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, এ কমিটি আসলে ছাদ কমিটি। এর সম্মেলন হয়েছে ছাদে বসে। আর কুট্টি দাদা আওয়ামীলীগের লোক, আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি ব্যবসা করেন আওয়ামীলীগের সাথে। আওয়ামীলীগের কথা ছাড়া চলতে পারেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংসু সরকার কুট্টি বলেন, ভুল মানুষের হতেই পারে। সংশোধন কপি সাথেই ছিল। যে বিভ্রান্তি ছড়াইছে সে ভুল কপি পোস্ট করেছে। সংশোধন কপি পোস্ট করেনি।
এক নেতার একাধিক পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অন্য দল বা অঙ্গসংগঠন থেকে কাউকে আমাদের দলে আনা হয়নি। যারা একাধিক পদে আছেন, তাদেরকে লাভজনক কোন পদে দেয়া হয়নি।
তারিখ লেখায় ভুল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া বলেন, এতদূর তো খেয়াল করিনি। আমি তো এরকম ভুল করতে পারি না। ডেট এর জায়গায় ভুল করতে পারি? ২৩ এর জায়গায় ২৫ লিখতে পারি?