ব্যস্ততম ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এর প্রবেশ ও বাহির গমন পথ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড এলাকার লিংরোডের ভয়াবহ যানজট সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। এ বছরের ২ জুন থেকে সাইনবোর্ড অঞ্চলটি কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করার পর থেকে দীর্ঘ সময়ের যানজটের মুখে পড়ছে চতুর্মুখি যাত্রীরা।
গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন এ অঞ্চল ব্যবহারকারীরা। শিল্পাঞ্চল হিসেবে অন্যতম ব্যস্ত নগরী নারায়ণগঞ্জ ।
প্রতি মুহুর্তে শিল্প কারখানা ও অফিস আদলতের কাজে ব্যবহৃত শতশত যানবাহন যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়ক ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ।
মূল সড়কের পাশেই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয় , জেলা কারাগার, আদালত প্রাঙ্গন, জেলা পরিষদ সহ গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক সার্ভিস প্রতিষ্ঠান থাকার ফলে জনসাধারণের চলাচলও তুলনামূলক বেশি। ফলে সড়কটিতে গণপরিবহন সহ সকল ধরণের পরিবহন চাপ লেগেই থাকে।
এর আগে দীর্ঘ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশ সাইনবোর্ড এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকাকালিন বর্তমান সময়ের মত মারাত্মক যানজটের মুখে পড়তে হয়নি বলে জানিয়েছেন নিয়মিত যাতায়াতকারী একাধিক ব্যাক্তি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের এর ব্যবসায়ী আরিফ জানান, গত ৮ বছর ধরে আমি যাতায়াত করি এই রোড ব্যবহার করে। বর্তমান সময়ের মত এত পরিমাণ যানজট আগে কখনো দেখিনি।
সাইনবোর্ড-চাষাড়া ও চাষাড়া-সাইনবোর্ডের ৮.৩ কিলোমিটার সড়ক প্রসস্থকরণকে যানজটের প্রধান কারণ বলে দায়ি করছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
এদিকে সাইবোর্ডের যানজটের ধকল গিয়ে ঠেকছে মদনপুর থেকে ঢাকা মুখি সড়কে । মদনপুর থেকে কাঁচপুর সেতু ও কাঁচপুর সেতুর গোড়া থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত দুই ভাগে যানজটের মুখে পড়ছেন যাত্রীরা।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মেঘনা সেতু পার হওয়ার পর সাইবোর্ড পৌছানো পর্যন্ত দুই দফা দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে ছিলাম। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ২ ঘন্টা যানজটেই কেটে গেল।
অপরদিকে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা মুখি যানবাহনগুলো শনিরআখড়া এলাকা থেকেই আটকে থাকছেন দীর্ঘ সময়ের যানজটে।
সাইনবোর্ড অঞ্চলে পূর্বে দায়িত্ব পালনকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) কামরুল হাসান বেগ বলেন, আমরা ট্রাফিক বিভাগ নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করে তীব্র যানজট থেকে সকল রুটের যাত্রীদের দ্রুত সময়ে সেবা দিতে কাজ করেছিলাম। তবে প্রতিটি বিভাগ তাদের নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করে সেবার মান নিয়ন্ত্রণ করেন।