নোয়াখালীতে বিজিএফ এর চাল বিতরণ নিয়ে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ১৫

মোঃ মাসুদ রানা, নোয়াখালী প্রতিনিধি।নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে এবং দশটি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব ও সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে চরবাটা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের তোতার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারি বিজিএফ এর চাউল বিতরণকে কেন্দ্র করে চরবাটা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব এবং সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে গত দুই দিন আগে থেকে উত্তেজনা দেখা দেয়। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই বিরোধের জের ধরে তোতার বাজার এলাকায় বিবাদমান দুই গ্রুপের অনুসারীরা সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

দু’পক্ষের সংঘর্ষে চরবাটা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের অনুসারী আলাউদ্দিন মেম্বার (৫৫) রাসেল আহমেদ হেলাল (২৬) শিবলু (৩৫) আজাদ (২৭) জামাল (৫৫) সহ সাতজন আহত হন। অপরদিকে সাবেক চেয়রম্যান মোজাম্মেল হোসেনের সমর্থক ফখরুল ইসলাম (৩৪) মিয়া হাজী (৫৫) মধু বেপারী (৩৫) সিরাজুল ইসলাম (৩৮) হেলাল উদ্দিন রাজা (৫০)সহ পাঁচজন আহত হয়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ২নং চরবাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বাড়ির সামনে চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হওয়ায় তাঁর অনুসারীরা বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজনের ওপর একাধিকবার তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হামলা চালায়। গুদাম না থাকায় তিনি তোতার বাজারের উত্তর পাশে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ভিজিএফের চাল বিতরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জানান, সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি কিছু জানেননা।

তবে বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব বলেন, পূর্বশক্রতার জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই দেলোয়ার,ভাগনে জিসান, ফখরুল বাহিনীর প্রধান ফখরুলের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয় ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি হেলালের ওপর। পরে আমি পুলিশের উপস্থিতিতে আমার অনুসারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে চলে আসি।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান আহতের সঠিক সংখ্যা তাদের জানা নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান