পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেড়ীবাঁধ সংস্কারের নামে বনবিভাগের সংরক্ষিত ৫০-৬০ বছরের পুরানো গাছ ভেকু দিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে এবং বনের ভিতর পুকুর ও দিঘি খনন করে মাটি নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বেড়ীবাঁধ।
৪৮ নং পোল্ডারের খাজুরা ও গঙ্গামতি বনবিভাগের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বনের বহু পুরানো গাছ কর্তন ও মাটি খনন করা হলেও তা থাকছে অধরা। কিন্তু কেন এ রকম চলছে তা নিয়ে নেই কোন উপর মহলের মাথা ব্যথা। যা কালো টাকার চাদোরে ঢাকা পরে আছে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
বনের ভিতর মাটি খনন ও বনের গাছ কর্তনের বিষয়ে বেড়ীবাঁধ সংরক্ষনে নিয়জিত ঠিকদার জামাল ও মহাসিন জানান, বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সমম্নয় করে বনের ভিতর দিয়ে মাটি কাঁটা হচ্ছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, টাকা দিলে পুরোন গাছ সহ বনের সব গাছ উজার করলেও কোন প্রকার মামলা হয়না। মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ সহ অফিসের কর্মচারীদের মন খুশি করতে না পারলে স্থানীয়দের বিভিন্ন অযুহাতে মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখানো হয়। মামলার ভয়ে নিরীহ মানুষগুলো নিরবে মেনে নেয় মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তার সকল অনিয়ম। ভুক্তভোগী সফিজুল জানান, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চরচাপলী মৌজার এস এ ২৩২ নং খতিয়ানের ৭৩৬ নং দাগের বি এস খতিয়ান নং ১৯৫, ও ৩২৫৭, ৩২৫৯ নং দাগের নাল জমি যা আমি ক্রয় ও পৈত্তিক সম্পতি হিসাবে ভোগ দখল করে আসছি। সাম্প্রতি উক্ত এলাকায় বেরীবাঁধের কাজ করার ক্ষেত্রে মাটির প্রয়োজন হলে বেড়ীবাঁধ কাজের ঠিকাদারের সাথে কথা বলে কিছু মাটি বিক্রি করতে চাইলে উক্ত জমির পাশে বন বিভাগের কিছু অংশ হওয়ায় মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তা বরাবর সীমানা নির্ধারণ ও রেকর্ডীয় জমিতে মাটি কাঁটতে বাধা সৃষ্টি না করে এই মর্মে অনুরোধ করলে মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ মোটা আংকের টাকা দাবি করেন। উৎকর্ষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তা আমাকে মাটি বিক্রিতে বাঁধা দেয়। এছাড়া, ভিবিন্ন সময়ে মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে থানায় লিখিত ডায়রী করেন। সার্বিক বিষয়ে মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৩২৫৭, ৩২৫৯ নং দাগের জমি আমাদের কিনা সে বিষয়ে আমাদের বিভাগীয় অফিসে যোগাযোগ করতে হবে তার সাথে ডিসি অফিসের একজন সার্ভেয়ার নিয়ে উক্ত জমির মাপ দিয়ে দেখতে হবে, তা না হলে আমরা সঠিক ভাবে বলতে পারবো না । টাকা বা উৎকর্ষের বিষয় তিনি জানান উক্ত বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট । মহিপুর রেইন্জ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদের খুটির জোড় কোথায় ? কে দিচ্ছে তাকে সাওস ? তার সাথে আরও কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত আছেন তাদের সকলের বিস্তারিত নিয়ে থাকছে আগামী সংখ্যায় ।
সময় ৮,৪৫ মিনিট,ছবি, ৫,২০মিনিট, সংবাদদাতা পটুয়াখালী, মোঃ কাজী মামুন।