এইচ এম মোশারেফ হোসেন সুজন পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কামরাঙ্গীর চরে পুলিশের এ,বি,বি,এন বিভাগে কর্মরত এ,এস,আই সামুন ইসলাম ভূঁইয়াকে আটক করেছে পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ। তিনটি স্ত্রীর কথা গোপন রেখে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে মারজান নামের এক নারীকে চতুর্থ বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকরেন চতুর্থ স্ত্রী মারজান।
আটককৃত প্রতারক সামুন কুমিল্লা জেলার বেজুয়া গ্রামের মৃত সেনা সার্জেন্ট হারুন অর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
প্রতারনার শিকার চতুর্থ স্ত্রী মারজান গনমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,আমাকে তথ্য গোপন করে একে একে ৩ টি স্ত্রী থাকা সত্য ও আমাকে বিয়ে করেন সামুন ৯/৩/২০ ইং ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক সামুনের উরুসে একটি সন্তান বয়স ৭ মাস। আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেন, খাওন পরন দেয়না আমার মা বাবা গরিব, আমার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন যৌতুক হিসেবে আমি কোথায় পাবো না দিতে পারায় আমাকে একে একে কয়েক বার শারীরিক নির্যাতন করেন।
১৯/৪/২১ ইং তারিখে একটি যৌতুক মামলা করি,যার মামলা নাম্বার সি আার- ৮৭২/২১ ওয়ারেন্ট স্বারক নাম্বার- ৪৫৪- ২২/৮/২১ ইং
মামলা করছি কেনো এজন্য ৮ অক্টোবর রোজ শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় মামলা তুলে নেয়ার জন্য শারীরিক নির্যাত করেন।
পটুয়াখালী পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডে মা বাবার ভাড়া বাসায় বসে পুলিশের এএসআই প্রতারক সামুন ভুইয়া । এ সময় ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ অবগত হয় এ, এস, আই, বশির।
ঘটনাস্থলে প্রতারক সামুনকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইন সবার জন্য সমান তাহলে আমার সঙ্গে পুলিশ সদস্য সামুন যে প্রতারনা ও শারীরিক নির্যাতন করেছে আইনের মাধ্যমে তার কঠোর বিচারের দাবি করেন।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি আমরা আইনানুগ ভাবে দেখবো।আইন সবার জন্য সমান সে যেই হোক অপরাধ থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।