মোঃ নুরুজ্জামান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী বাউফল উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নে কাশিপুর বাজার থেকে হাজীরহাট হয়ে ধরান্দী, এবং কাশিপুর বাজার থেকে নওমালায় বাউফল ও মিলঘর বাজার থেকে বগা বন্দর যাওয়ার পথে, একটু বাতাসেই ধুলোবালুতে সড়কের হাল হয় নাজেহাল। দু’পাশের গাছপালা, বাড়িঘর সবই ধুলো আর বালুতে একাকার।সড়কে যানবাহন কিংবা পথচারী চলা দুষ্কর ! এমন চিত্র পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাশিপুর থেকে বাউফল এবং কাশিপুর গ্রাম থেকে পটুয়াখালী সদর কমলাপুর ইউনিয়নে অর্ধনির্মিত সড়কের।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সড়কের নির্মাণ কাজ অর্ধেকটা শেষ হয়েছে। সড়কে অনেক স্থানেই ইটের খোয়া ফেলে রোলার দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রায় এক বছর ধরে কাজ না শেষ করে ফেলে রাখা হয়েছে সড়কটি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটো ক্ষমতাশীল দলীয় হওয়ায় সড়কটি নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে পরবর্তি নির্মাণ কাজ শুরু করেনি এখনও। কাজ শেষ না হওয়ায় বর্তমানে ধুলোযুক্ত দুটো সড়কের দুই পশের বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশের বাড়িঘর, গাছপালা ইটের খোয়ার ধুলোয় লালছে হয়ে রয়েছে। ধুলোর কারণে চলাচলে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পটুয়াখালী সদর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন (পটুয়াখালী সদর ও বাউফল) প্রকল্পের’ আওতায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার কাশিপুর বাজার থেকে ধরান্দী বাজার এর ঠিকাদার পটুয়াখালী সদর, এবং কাশিপুর বাজার থেকে নওমালায়,এবং বগা বন্দর এর ঠিকাদার বাউফল উপজেলার, এই দুটো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাশীল দলীয় হওয়ায়, এই দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের নির্মান কাজ করার কার্যাদেশ পেয়েও কাজ শেষ না করায় সড়কের বেহাল দশা।
জানা গেছে, ২০২১ সালে সড়কটি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পুরো সড়কে বালু ও ইটের খোয়া ফেলে রোলার দিয়ে দেয়। তবে সড়কের অনেক স্থানে ঠিকমত খোয়া না ফেলা ও রোলার না দেওয়ায় উঁচু-নিচু রয়ে গেছে।
অপরদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের ৫৫ শতাংশ কাজ করে ফেলে রেখে দেওয়ায় প্রায় বছরখানেক ধরেই ধুলার দাপটে ভোগান্তিতে থাকেন সড়কের দুই পাশের বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সড়ক নির্মাণ কাজ বাবদ একটি বিলও তুলে নিয়েছেন। এছাড়াও সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনও কোথাও কোথাও কাজ শুরু হয়নি।
ওই সড়কে নিয়মিত মটরসাইকেল চালক আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ। ধুলাবালুতে রাস্তায় (সড়ক) গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়। একদিকে খানাখন্দ, আরেকদিকে ধুলা ওড়ে।’ অটোরিকশা চালক সুমন,বাবুল,রফিক বলেন, ‘জনস্বার্থে সড়কটি দ্রুত নির্মাণ প্রয়োজন।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই রাস্তা দিয়ে ধরান্দী স্কুলে এবংআদম আলী ডিগ্রি কলেজে যাওয়ার সময় ধুলার অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ।
এ ব্যাপারে এলজিইডির পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রকৌশলী কাছে এলাকাবাসীর দাবী এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটো কে চিঠি দিয়ে তাগিদ দেওয়া হোক, এবং আমরা আশা করি, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যেন দ্রুত সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করবেন।