স্টাফ রিপোর্টার:
মানবাধিকার ও সাংবাদিক পরিচয় দানকারী প্রতারক প্রদীপ চন্দ্র বর্মন জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়েও রয়েছেন নিরব, পর্যবেক্ষন করছে বিস্তারিত বিষয়ে।এদিকে প্রদীপের অন্যতম সহযোগী রোটারিয়ান ফেরদৌসী আক্তার রেহেনা ও তার সহযোগীরা এখনো সক্রিয় থেকে বিভিন্ন মানুষকে ফেসবুকের ইনবক্সে ও মোবাইলে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকার বাজে মহিলা ও ব্লাকমেইলার ফেরদৌসী আক্তার রেহেনা আইসিটি আইনের মামলায় আসামি হয়ে পলাতক রয়েছে। পুলিশ ফেরদৌসী আক্তার রেহেনা কে নজরদারিতে রেখেছে, যে কোন সময় গ্রেফতার করবে। এছাড়াও রেহানার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে রয়েছে ভুমিদস্যুতা ও মানহানির মামলা। রেহানা বিভিন্ন সময় সামাজিক ও প্রভাবশালী মানুষ কে ব্লাকমেইল করতে ফাঁদ পাততো এবং নারী দিয়ে কৌশলে পুরুষদের সর্বস্ব কেড়ে নিতো।
এ বিষয়েও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। এছাড়াও অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আর দেয়নি। বিশেষ করে রেহানার বেশি মক্কেল ছিলো রোটারী ক্লাবের। ধনী মানুষদের বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে টাকা, মোবাইল রেখে দিতো এবং বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছে। বর্তমানে রেহানার বিরুদ্ধে অনেকেই মুখ খুলছে। প্রতারক রেহানা নিজেকে বাঁচাতে ওর গডফাদারকে ও ছাড় দেয়নি।বস প্রদীপের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে রেহানা। অভিযোগটি রেহানার বখাটে ছেলে লিমন করছে। রেহানার বিপদে প্রদীপ যথেষ্ট প্রতিবাদ করলেও প্রদীপের বিপদে রেহানা আরো বিপদে ফেলেছে। এ ব্যাপারে রেহানার বিরুদ্ধে প্রদীপ ব্যবস্থা নিবে বলে জানা গেছে।
প্রতারক ফেরদৌসী আক্তার রেহেনার কয়েকটি ফেইসবুক আইডি রয়েছে।সেই আইডি গুলো দিয়ে রেহানার প্রতিপক্ষদের বিভিন্ন ভাবে মামলা সহ মুখোশ খুলে দেযার হুমকি দিচ্ছে। অথচ রেহানার মুখোশ এখন অবিরত উন্মোচন হচ্ছে। রেহানার দুইজন সহযোগী ইতিমধ্যে রেহানার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
আরো জানা যায়, প্রতারক রেহানার বিরুদ্ধে আরো জিডি, অভিযোগ ও মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভুক্তভোগীরা।