২৬ই আগস্ট (বৃহস্প্রতিবার) দুপুরে হাফ মাডার মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে আবেদন নামঞ্জুর করে ফেন্সি নুরুজ্জামানের ভগ্নীপতি অভিযুক্ত ২নং আসামি প্রতিষ্ঠিত জামায়াত-শিবির নেতা মোক্তারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং ১নং আসামী ফেন্সি নুরুজ্জামান বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
ফেন্সি নুরুজ্জামানের মাদক ব্যবসা দমন করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর বিগত ১৩/০৭/২০২১ইং তারিখে গণস্বাক্ষর দিয়ে গ্রামবাসী অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত লিখিত অভিযোগে বৃদ্ধা ছোবান স্বাক্ষর করায় ফেন্সি নুরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে বিগত ২৪/০৭/২০২১ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১১ টায় নন্দনকানন জামে মসজিদের পূর্ব পাশে রাস্তায় একা পেয়ে বৃদ্ধা ছোবানকে ফেন্সি নুরুজ্জামান তার সন্ত্রাসী বাহিনী জামায়াত ও শিবির দলীয় সন্ত্রাস মোক্তার, মাদক ব্যবসায়ী মোতালিব, সাখাওয়াত উল্লাহ, নুরুজ্জামানের দেহরক্ষী ও মাদক ব্যবসায়ী শহীদুল্লাহ্ ও নাজিমউদ্দীন সহ আরো কয়েকজন মিলে বৃদ্ধা ছোবানের উপর হিংস্র বাঘের মত ঝাপিয়ে পড়ে। অতঃপর হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে এবং ব্যাপক মারধর করে। এ সময় তার ডাক চিৎকার শুনে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ও জাতীয় পার্টি নেতা হানিফাকে আসতে দেখে তারা মটর সাইকেলযোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারপর আমিনুল মেম্বার হানিফাকে সাথে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠায়।
বৃদ্ধা ছোবান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছে। ফেন্সি নুরুজ্জামান মোল্লা একজন প্রতিষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললেই সে মিথ্যা, বানোয়াট,মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং সে একটি বিশাল সিন্ডিকেট নিয়ে মাদক সহ সকল চাদাবাজী,নারী কেলেংকারী করে থাকে। ফেন্সি নুরুজ্জামান সাংবাদিকতার তকমা ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তার পাশাপাশি ১নং আসামি ফেন্সি নুরুজ্জামানকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি এবং আমার মতো আর কাউকে যেন এমন হয়রানির শিকার না হতে হয় সে দাবী জানাচ্ছি।