বন্দর প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন দৌলতপুর এলাকায় অসহায় প্রবাসীর পরিবারের সদস্য মহিলাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আক্রাম বাহিনী।
অসহায় পরিবার সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে ও বিপাকে।
সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর এলাকার প্রবাসী দায়েম জীবন জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে অবস্থান করে আসছে। দায়েম মিয়ার বাড়ির সীমানা ঘেষে একই এলাকার মফিজ মিয়া রাস্তা নির্মান করতে পরিবারের মহিলা সদস্যদের উপর মিথ্যা মামলা সহ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এভাবে আরো কয়েকবার মফিজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা জোরপূর্বক পুরুষ শুন্য প্রবাসী দায়েম মিয়ার বাড়ির টিনের ভেড়া ভেঙ্গে রাস্তা নির্মান করতে চেয়েছিল। বাড়ির মহিলাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিও দেখায়।
কোন উপায় না পেয়ে দায়েম মিয়ার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দাবী জানায়। চেয়ারম্যান স্থানীয় মেম্বার সোহেলকে নিয়ে উভয় পক্ষের জবানবন্দি শুনে মফিজগংদের শাসিয়ে দেয়। যেন মহিলারদের রাস্তার বিষয়ে কোন প্রকার হুমকি ধামকি না দেয়া হয় সে বিষয়েও মফিজ ও তার সন্ত্রাসীপুত্র আকরামকে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও মানতে নারাজ মফিজও তার সন্ত্রাসী পুত্র আকরাম।
ফলে ১১/৭/২১,ইং সকাল ৯.০০ঘটিকার সময় আবারো রাস্তা করার বিষয়ে মফিজ (৬৫)ও তার পুত্র আক্রাম(৩৭), ইমরান (২৫) ও মফিজের স্ত্রীর ভাই হৃদয় (৩০) সহ সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে প্রবাসী দায়েম মিয়ার স্ত্রী লুবনি আক্তার (৩৫), মাতা কবিরুন নেছা (৬৩) বোন শাহানাজ (৩৪) মেয়ে শাফা (৮) ও ছেলে জোনাইদ (১০) এর উপর অতর্কিত হামলা করে। সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় তাদের ডাক চিৎকারে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।
ফলে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে প্রবাসী দায়েমের বোন শাহানাজ ৯৯৯ সাহায্য চেয়ে ফোন করে।
ফোন পেয়ে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা এ এস আই সাইফুলকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে মুছাপুর ইউপি ৪ নং ওয়ার্ডের সোহেল মেম্বার ঘটানাস্থলে চলে আসে। তাদের চোখের সামনেই সন্ত্রাসী মফিজ গং প্রবাসী দায়েম মিয়ার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করতে যায়। এমনকি খবর পেয়ে সংবাদকর্মী ও উপস্থিত হয়। ক্যামেরায় ছবি তুলতে চাইলে মাদক ব্যাবসায়ী মফিজের শালা হৃদয় বাধা দেয়। ভয়ে নির্বিকার দাড়িয়ে থাকে এ এস আই সাইফুল ও কনস্টেবল সানোয়ার।
পরে আলাদা মেম্বারের সাথে কথা বলে তদন্তে দায়িত্বে নিয়োজিত এ এস আই সাইফুল উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যাবার কথা বলে। যেখানো সোহেল মেম্বার মফিজ গংদের ধরে নিয়ে যেতে এ এস আই সাইফুলকে অনুরোধ করে সেখানে কিভাবে সাইফুল নিরব দর্শকের মত দাড়িয়ে থাকে? এদিগে প্রবাসী দায়েম মিয়ার পরিবারের লোকজন মফিজ মিয়ার সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকিত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের দাবী সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে মফিজ গংদের আইনের আওতায় নিয়ে সঠিক বিচার করতে।
তবে এ বিষয়ে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহার সাথে কথা বললে তিনি জানান সন্ত্রাসী যেই হোক আইনের উর্ধে নয়। এ এস আই সাইফুলের বিষয়ে ও তিনি জিজ্ঞাসা করবেন। এবং এই বিষয়ে তিনি দ্রুত প্রদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।