নিজস্ব প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর বাউফলে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ
পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উপজেলার নওমালা ইউপির নওমালা গ্রামে সাহা গাজী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নওমালা ইউপির ইতালী প্রবাসী জাকির
হোসেনের সাথে পাশ্ববর্তী বাউফল ইউপির বিলবিলাস গ্রামের আনিকা আক্তার মিতুর সাথে মুঠোফোনে এক বছর তিন মাস পূর্বে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। নববধু
মিতু তার ইতালীতে অবস্থানরত প্রবাসী স্বামীর দেখা পাওয়ার আগেই গত দুই
সপ্তাহ আগে জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। এরপর সকল নিয়ম কানুন মেনে দুই
সপ্তাহ পরে সোমবার জাকির হোসেনের লাশ নিজ বাড়িতে পৌছায়। স্বামীর
মুখখানি দেখতে ছুটে যায় স্ত্রী মিতু। তখনই বাঁধে বিপত্তি।
মিতুকে লাশ দেখতে বাঁধা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মৃত জাকিরের পরিবার। এসময়
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেশী সাবেক সেনা সদস্য বাবুল পেশকার উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ করে এবং স্ত্রী মিতুকে লাশ দেখানোর অনুরোধ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় মৃত জাকিরের পরিবার। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে জিসান, রুবেল ও সবুজ সহ ৭/৮ জন বাবুল পেশকারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীরা আহত অবস্থায় সেনা সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এনে ভর্তী করেন। বাবুল পেশকার এখন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রতিবেসীরা জানান, মৃত জাকির বিয়ের পর থেকে পরিবারের সদস্যদের টাকা পয়সা দেয়া বন্ধ করে দেন। তাই তার পরিবারের লোকজনের সন্দেহ স্ত্রীর পাল্লায় পরে পরিবারকে টাকা দেয়া বন্ধ করেছে । যার ফলে স্ত্রী মিতুর প্রতি ক্ষিপ্ত জাকিরের পরিবার,; এজন্য লাশ দেখতে বাঁধা দেয় তারা।
এ ঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা
মো. বাবুল পেশকার। তিনি বলেন, মানবিক দিক থেকে আমি মিতুকে তার স্বামীর লাশ দেখতে দিতে বলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওরা আমাকে মারধর করে। আনিকা আক্তার মিতু বলেন, আমি আমার স্বামীর লাশ দেখতে গেলে আমার স্বামীর পরিবারের লোকজন আমাকে বাঁধা দেয়। তখন আমি ওই ভদ্রলোককে বলি আপনি একটু বলেন, ‘প্লিজ আমি একবার মুখটা দেখেই চলে যাবো’। তখন তিনি (বাবুল) ওদেরকে অনুরোধ
করলে ওরা তাকে মারধর করে। এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন
বলেন, সেনা কর্মকর্তাতে মারধরের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। প্রকৃত অপরাধীদের
আইনের আওতায় আনা হবে।
