পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে তেঁতুলিয়া নদীতে জোয়ারের পানির চাপ স্বাভাবিক থেকে অনেক বৃদ্ধি।
মঙ্গলবার দুপুরের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপকুলীয় জেলা পটুয়াখালীর বাউফলের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি চরাঞ্চল। মাঝারি তাপপ্রবাহে বাড়ছে ভ্যাপসা গরম। দূর্যোগ মোকাবেলায় সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে চরবাসীকে।
সোমবার বিকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও চরাঞ্চলে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তণ লক্ষ্য করা গেছে। রাতের দিকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা । কোন কোন এলাকায় গর্জণসহ হালকা বৃষ্টি হলেও মঙ্গলবার সারা দিন মেঘ আর রোদের লুকোচুরি খেলা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহি অফিসার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বৈঠক করা হয়েছে । সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদেরকে সতর্ক থেকে উপজেলার ১৪৩টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। যখনই লাগবে তখনই যেন ব্যাবহার করা যায়।
চন্দ্রদ্বীপ ও ধুলিয়ার চর বাসুদেবপাশাসহ বিছিন্ন চরগুলোতে মসজিদের মাইকে সর্বসাধারনকে দুর্যোগ কালীন করণীয় বিষয়ে সতর্ক করে সাইক্লোন সেল্টারগুলোর অবস্থান ও আপদকালিন সময়ে সেখানে জরুরী অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউপির চর রায়সাহেব এলাকার মেম্বার সালাম শরীফ বলেন, ‘যথেষ্ট আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের কথা হুনলেই চরের মানুষের ডর লাগে।
গুচ্ছগ্রামসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছেন চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা।