বাউফল প্রতিনিধি, পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাৎ করায় বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দায়েরকৃত মামলায় সেই আলোচিত চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার সহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২২ আগষ্ট ) চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের পক্ষে জামিন আবেদন করলে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের বিচারক মোসা. রোকসনা পারভীন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অন্যান্য আসামিরা হলেন, কনকদিয়া ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার ও সাবেক বাউফল উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু সাইদ, সাবেক ইউপি সচিব মো. মজিবুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আশরাফ আলী, নিজাম উদ্দিন ও মেজবাহ উদ্দিন মিরাজ।
উল্লেখ্য:: গত ২০১৮ সালে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করেন দুদক। পরে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মানিক লাল দাস মামলা নিষ্পত্তি দাবি করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করলে আদালত পুনঃতদন্ত করার জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে চেয়ারম্যান শাহিন সহ ৬ জনকে অভিযোগ করে পুনরায় অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
সম্প্রতি চলতি বছরের গত শুক্রবার (২৫ জুন) উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রমজান – নসিমন প্রেম সম্পর্কের সালিশী করতে গিয়ে বৈঠকে প্রেমিকা কিশোরী নাজমিন আক্তার নসিমন সুন্দরীকে পছন্দ হওয়ায় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন ওই চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে ততক্ষনাত ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়ে যান চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। নিজের মানসম্মান বাচাতে পরদিন শনিবার আবার ওই নসিমনকে দিয়ে তালাক দেন। তাও দ্রুত পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশ পেলে আলোচিত চেয়ারম্যান বনে যান তিনি।