ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বেচ্ছাসেবক দিবসে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের উদ্যোগে রোগীদের নিয়ে মিলনমেলা সোনারগাঁওয়ের অবহেলিত মানুষের উন্নয়নের ভরসা মারুফুল ইসলাম ঝলক ইঞ্জিনিয়ার সুমনের মৃত্যুতে দুমকি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর শোক এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা বন্দরে হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদাই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাউফলে সেফটি ট্যাংকি থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার পটুয়াখালী রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র স্থগিত দুমকিতে মায়ের মিথ্যা মামলায় সন্তানের সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বিএনপি নেতা সেলিম প্রধান সাংবাদিক জহির আলম সিকদারকে হত্যার চেষ্টা, এনজেএফ এর নিন্দা

বাউফলে দলিল লেখকদের লাগাতার কর্মবিরতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩ ১২২ বার পড়া হয়েছে

সংবাদদাতা বাউফলঃপটুয়াখালীর বাউফল সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল লেখকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ১ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন দলিল লেখকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাব রেজিষ্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমার খামখেয়ালিপণার প্রতিবাদে দলিল লেখকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এরআগেও একবার কর্মবিরতি পালন করেন তারা। দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খান বলেন, দলিল রেজিষ্ট্রেশন সহজীকরণ না করায় ক্রেতা ও বিক্রেতারা প্রতিদিন ফিরে যাচ্ছেন। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে সহজেই ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল রেজিষ্ট্রেশন করছেন। আর তিনি (বাউফলের সাব রেজিষ্ট্রার) নানা ছুতো দিয়ে অনেক দলিল রেজিষ্ট্রেশন করছেন না। আমরা এই সাব রেজিষ্ট্রারের অপসারণ চাই। এছাড়াও তিনি ৪ বছর যাবৎ একই কর্মস্থলে থাকায় দলিল লেখকদের পাত্তাই দিচ্ছেন না। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক মৃধা বলেন, আমরা এর আগেও একই দাবীতে কর্মবিরতি পালন করেছি। তখন সাব রেজিষ্ট্রার আমাদের দাবী মেনে নেয়ার কথা দিয়েছিলেন। তিনি এখন কথা রাখছেন না। তার খামখেয়ালিপণার কারনে প্রতিদিন প্রচুর ক্রেতা বিক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। এতে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সাব রেজিষ্ট্রারের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে। রোববার ০৫/১১/২০২৩ খ্রিঃ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন।আর দলিল লেখকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। আবদুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আমি বিদেশ থেকে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি কর্মবিরতি চলছে। সোমবার আমার ফ্লাইট। এখন ভোগান্তির কবলে পড়েছি। কবে নাগাদ দলিল রেজিষ্ট্রেশন হবে তা বলতে পারছি না। এ প্রসঙ্গে সাব রেজিষ্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমা বলেন, দলিল লেখকদের দাবী অযৌক্তিক। নতুন আইন তারা মানছেন না। দলিল লেখকরা পুরানো নিয়মে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে চান। তারা বিষয়টা বুঝতে চান না। আমিতো পুরানো নিয়মে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবো না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাউফলে দলিল লেখকদের লাগাতার কর্মবিরতি

আপডেট সময় : ০১:১৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

সংবাদদাতা বাউফলঃপটুয়াখালীর বাউফল সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল লেখকদের লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ১ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন দলিল লেখকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাব রেজিষ্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমার খামখেয়ালিপণার প্রতিবাদে দলিল লেখকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এরআগেও একবার কর্মবিরতি পালন করেন তারা। দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খান বলেন, দলিল রেজিষ্ট্রেশন সহজীকরণ না করায় ক্রেতা ও বিক্রেতারা প্রতিদিন ফিরে যাচ্ছেন। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে সহজেই ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল রেজিষ্ট্রেশন করছেন। আর তিনি (বাউফলের সাব রেজিষ্ট্রার) নানা ছুতো দিয়ে অনেক দলিল রেজিষ্ট্রেশন করছেন না। আমরা এই সাব রেজিষ্ট্রারের অপসারণ চাই। এছাড়াও তিনি ৪ বছর যাবৎ একই কর্মস্থলে থাকায় দলিল লেখকদের পাত্তাই দিচ্ছেন না। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক মৃধা বলেন, আমরা এর আগেও একই দাবীতে কর্মবিরতি পালন করেছি। তখন সাব রেজিষ্ট্রার আমাদের দাবী মেনে নেয়ার কথা দিয়েছিলেন। তিনি এখন কথা রাখছেন না। তার খামখেয়ালিপণার কারনে প্রতিদিন প্রচুর ক্রেতা বিক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। এতে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সাব রেজিষ্ট্রারের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে। রোববার ০৫/১১/২০২৩ খ্রিঃ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন।আর দলিল লেখকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। আবদুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আমি বিদেশ থেকে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি কর্মবিরতি চলছে। সোমবার আমার ফ্লাইট। এখন ভোগান্তির কবলে পড়েছি। কবে নাগাদ দলিল রেজিষ্ট্রেশন হবে তা বলতে পারছি না। এ প্রসঙ্গে সাব রেজিষ্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমা বলেন, দলিল লেখকদের দাবী অযৌক্তিক। নতুন আইন তারা মানছেন না। দলিল লেখকরা পুরানো নিয়মে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে চান। তারা বিষয়টা বুঝতে চান না। আমিতো পুরানো নিয়মে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবো না।