বাউফলে নৌকার সমর্থক নিহত, বিদ্রোহী প্রার্থী মহসিন সহ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিনিধি,পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত নৌকা প্রতিকের সমর্থক ও নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আমির হোসেন মৃধা (৭০) মারা গেছেন।

সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠীর নৌকার সমর্থকসহ সাধারন ভোটাররা। মৃত্যুর ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই ) তাকে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করেছে বাউফল থানা পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ২৭ জুলাই বাউফলের নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৮ জুলাই বিকেলে নৌকা প্রতিকের সমর্থকেরা একটি মোটরসাইকেল বহর বের করে তাঁতেরকাঠি ব্রীজের কাছে পৌঁছালে বিদ্রোহী প্রার্থী এস.এম মহসিনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা নৌকা প্রতিকের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।

ওই সময় উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে নৌকার সমর্থক আমির হোসেন মৃধা গুরুতর আহত হন। তাকে ওই দিনই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সে মারা যায়। আমির হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নৌকার সমর্থক ও সাধারন ভোটাররা আমির হোসেন মৃধার মৃত্যুর মূল হোতা বিদ্রোহী প্রার্থী মহসিনের ফাঁসির দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধরা শান্ত হয়। পরে পুলিশ সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মহসিনকে সহ তার সহযোগী ফারুক ও জহির নামে আরও ২জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করেন।

বাউফল থানার ওসি আল -মামুন জানান, আমির হোসেন মৃধার মৃত্যুর ঘটনার সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী মহসিনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে।

নৌকার প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুক জানান, আসম ফিরোজের নেতৃত্বে আমরা সকল নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা বলে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছি। কিন্তু দলের সাধারন সম্পাদক ও বাঊফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বিদ্রোহী প্রার্থীকে ইন্ধন দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে একজন কর্মীর জীবন গেল। এর দায় তারা এরাতে পারেন না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান