বাউফলে প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মোঃশফিকুল ইসলাম,প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে হাফিজ মোল্লা ও আব্দুল খালেক মুন্সি গংদের বিরুদ্ধে চিটিংবাজি সহ প্রতারণার অভিযোগ এনে বিচার দাবিতে প্রেসক্লাব বাউফল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো: নান্নু মোল্লা গংরা।

রোববার (২১ মে২০৩) বেলা ১১টায় দিকে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নান্নু মোল্লা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যের বলেন, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মোঃ হাফিজুর রহমান, পিত: মৃত আব্দুল কাদের মোল্লা ও আব্দুল খালেক মুন্সি, পিতা: মৃত এন্তেজ আলী মুন্সি গংরা প্রতারক, টাউট ও সন্ত্রাসী প্রকৃতি লোক। সরকারি বন্দোবস্ত মুলে ২ একর জমি করে পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৯৯৫ সন থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত নাজিরপুরের প্রায় ৭২ জন মানুষের নিকট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে একবারে হাতিয়ে নেয়। এভাবেই টাকা পয়সা নিয়ে সবাই কে নিঃস্ব করে দিয়েছে। কাউকেই একতিল পরিমাণ জমি দেয়নি শুধু তালবাহানা করে আসছে।

এদিকে ভুক্তভোগীরা জমির কথা বললেই বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। হাফিজ মোল্লার একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আব্দুল খালেক মুন্সি। তারই ধারাবাহিকতায় তারা গত শনিবার (২০ মে) চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কচুয়া ৭৫ মৌজার মূল মালিকের বরাদ্দকৃত জমি মালিকদের অগোচরে অন্য লোকদের মালিক সাজিয়ে বিক্রি করে সেই জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে আমরা মূল মালিকরা জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হলে তারা আমাদের প্রকাশ্য দিবালোকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। ওই জমি তারা জবরদখল করে ভোগদখল করছে যা বেআইনি। আমরা হাফিজ মোল্লা ও আব্দুল খালেক মুন্সি গংদের কবল থেকে রক্ষা ও আমাদের জমি পুনরায় ফেরত পাওয়া সহ তাদের বিচার দাবি করছি। এবং তারা গত কাল (২০শে মে) একটা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। সেই সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক মুন্সি গং জানান, আমি একজন ইমাম মানুষ। যেসব অভিযোগ আসছে তাতে আমরা কেউ জরিত নই, তা জানিনা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান