সংবাদদাতা বাউফলঃপ্রেসক্লাব বাউফল এর সভাপতি, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ আরিফুজ্জামান খান রিয়াদকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট জনেরা। বাউফলের তথাকথিত কয়েকজন ধান্দাবাজ টাইপের সাংবাদিকের উস্কানীতে একটি মহল সাংবাদিক আরিফুজ্জামান খান রিয়াদের সম্মানহানী করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে। এক নির্যাতিত নারীর স্বামীকে ব্যবহার করে আরিফুজ্জামান খান রিয়াদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের মাঝে ভাবমূর্তী নষ্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় রিয়াদ আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। প্রেসক্লাব বাউফলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। তারা বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার সফলতায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে কতিপয় হলুদ সাংবাদিক গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। প্রেসক্লাব বাউফলের সহসভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক এম সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের সংগঠনের সভাপতিকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। যেসব হলুদ সাংবাদিকরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারা বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়ে শিগগিরই পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে আন্দোলন শুরু হবে। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার বলেন, বাউফলে কোন সাংবাদিক কেমন আর কোন নেতা কেমন তা আমরা ভালো করেই জানি। সাংবাদিক আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না, এর দাতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রেসক্লাব-বাউফল এর সভাপতি, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার আরিফুজ্জামান খান রিয়াদের বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায় ৪ জনের নামে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন কালবেলা পত্রিকার বাউফল সংবাদদাতা জিএম মশিউর রহমান মিলন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বাউফল প্রতিদিন.কম এর সম্পাদক এনামুল হক এনা, সময় নিউজের পটুয়াখালী প্রতিনিধি মনির হোসেন বাদল ও মর্নিং পোষ্ট.কম নামের অনলাইন পোর্টালের বাউফল সংবাদদাতা মোঃ ফিরোজ। মামলার এজাহারে বাদী আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ উল্লেখ করেন, আসামীদের সঙ্গে আমার পেশাগত ও আদর্শগত মত পার্থক্য রয়েছে। সম্প্রতি সানজানা খান সিথী নামের এক নির্যাতিত নারীকে আমি পেশাগত পরামর্শ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন উল্লেখিত আসামীরা। আমাকে সামাজিকভাবে মানহানী ও হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে ওই নারীর স্বামীকে দিয়ে আসামীরা আমার নামে আদালতে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে আসামীরা পরস্পর যোগাযোগ করে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ’অন্যের বউ ভাগিয়ে নেওয়ায় অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা’ শিরোনাম দিয়ে আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাউফল থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে বাসায় অবস্থান করছি। আমি এক নির্যাাতিত নারীকে পেশাগত সহায়তা দেওয়ায় আসামীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। তারা নির্যাতনকারীর পক্ষ নিয়ে আমাকে হয়রানী, অপমান, অপদস্ত করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে নির্যাতিত নারীর স্বামীকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে হয়রানী শুরু করে। প্রকাশিত সংবাদে আমার বক্তব্য না নিয়ে আমাকে পলাতক উল্লেখ করে আসামীরা মুখরোচক গল্প তৈরি করে। আমি এর জন্য আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছি। আশা করছি আমি ন্যায় বিচার পাবো।