বাউফলে শালিসীর নামে বিয়ে করা,সেই চেয়ারম্যানকে তালাক

বাউফলে শালিসীর নামে বিয়ে করা,সেই চেয়ারম্যানকে তালাক


সংবাদদাতা বাউফলঃ

পটুয়াখালী বাউফলে বাল্যবিবাহের সালিশের নামে এক কিশোরীকেই বিয়ে করা বাউফলের আলোচিত সেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন কে তালাক দিয়ে আগের স্বামীর কাছে চলে গেছে কনে নসিমন আক্তার।

শনিবার (২৬ জুন) রাত ৯টার দিকে নসিমন ও চেয়ারম্যান শাহিন উভয়ই তালাক নামায় স্বাক্ষর করেন বলে জানান কাজী আবু সাদেক হোসেন।

তিনি জানান, শুক্রবার বাদ জুমা চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের সাথে নাসিমনের বিয়ে সম্পন্নের পর থেকেই নসিমন তার পূর্বের স্বামীর কাছে যেতে চাইছিলো,

এরই মধ্যে বিষয়টি নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে সামাজিকভাবে বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে দৃষ্টিকটু মনে হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যার পরপরই কনে নসিমন ও তার পরিবারের সাথে তারা বৈঠকে বসেন। এক পর্যায়ে নসিমন তার দ্বিতীয় স্বামী চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দিতে রাজি হন।

তালাকের পর নসিমনের পরিবারসহ সকলের উপস্থিতিতে নসিমনকে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তার আগের স্বামী রমজানের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নসিমনের সাথে একই এলাকার একটি মসজিদের সাবেক ইমাম হাফেজ মো. রমজান আলীর প্রেমের সম্পর্ক থেকে গোপনে বিয়ে হয়। এ ঘটনা প্রকাশ পেলে মেয়ের বাবা নজরুল ইসলাম তা মেনে নিতে না পেরে সালিশের আয়োজন করেন।

এক পর্যায়ে কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার শুক্রবার স্বামী-স্ত্রী উভয়কে তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে হাজির হতে বলেন। সালিশে নসিমনকে দেখে চেয়ারম্যানের পছন্দ হয় এবং পাঁচ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে তাকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।


শেয়ার করুন
আপনার মতামত জানান