বাউফলে শোক দিবসের ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ মোতালেব হাওলাদার সহ ৬জন বিরুদ্ধে মামলা

বাউফলে শোক দিবসের ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ মোতালেব হাওলাদার সহ ৬জন বিরুদ্ধে মামলা

সংবাদদাতা বাউফলঃ পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর শোকাবহ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ স্বপরিবারের নিহতদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মালেক মীর বাদী হয়ে পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও তার ছেলে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নথিভুক্ত করে তদন্তে জন্য বাউফল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের ছবি সংবলিত ব্যানার টানানোর জন্য উপজেলার বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মালেক মীররের নেতৃত্বে দলীয় কয়েক নেতা কর্মীদের নিয়ে গত সোমবার দুপুরে বগা সোনালী ব্যাংকের সামনে যাই। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও তার ছেলে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসানসহ তাদের অনুসারী কয়েক যুবককে নিয়ে আমাদের ওই ব্যানার টানাতে নিষেধ করে। এ সময় তারা প্রতিবাদ করেলে তাদেরকে মারধর করে হাত থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনার পর বগা ফেরিঘাট এলাকায় ফের আরেকটি ব্যানার নিয়ে গেলে সেখানেও তারা একইভাবে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাসহ মারধর করে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর শোকাবহ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাদের স্বপরিবারের নিহতদের ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় ভাবে আমাকে কোনঠাসা করে রাখার জন্য স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজের অপকৌশল হিসেবে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোঃ আল মামুন বলেন, বিজ্ঞ আদলতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান