বাউফল প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রী ও পরোকিয়া প্রেমিক মিলে মিরাজ নামে এক ব্যাক্তির চোখ উৎপাটনের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার দাশপাড়া ইউপির দাশপাড়া গ্রামে রাত আটটায় এ ঘটনা ঘটে। তার পিতার নাম মোখলেছুর রহমান লালু।
জানা গেছে, মিরাজ হোসেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসাবে চাকরী করেন। তার এক মাত্র অসুস্থ্য শিশু সন্তান আলিফ (৭) কে দেখার জন্য লকডাউনে বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার বিকালে স্ত্রী নুপুর বেগমকে পুত্রকে নিয়ে বাড়ীতে আসার জন্যে মুঠোফোনে জানান। স্ত্রী নূপুর বেগম জানায়, তার ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে ৫লক্ষ টাকা দিলে তবেই সে শশুর বাড়িতে যাবে।স্ত্রীকে বাড়িতে নেয়ার জন্যে ইফতার শেষে রাত আটটার দিকে শ্বশুর বাড়ী পৌছান মিরাজ।
শ্বশুরের ঘরে ঢুকেই পরকীয়া প্রেমিক হাবিব হোসেনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন স্ত্রীকে। মুহুর্তের মধ্যে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘরের ভিতর মিরাজকে আটকিয়ে ফেলে মারধর করে চুল ধরে টেনে মাটিতে ফেলে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায় স্ত্রী নুপুর ও তার পরকিয়া প্রেমিক হাবিব। এতে যোগ দেন শ্বাশুরী রেহেনা বেগম।
এসময় মিরাজের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, ডান চোখের অবস্থা আশংকাজনক,উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল আই হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে নুপুরের বাবা সোহরাব হোসেন বলেন,তার জামাই মেয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।কিন্তু এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে তা তিনি আসা করেননি।স্ত্রী নুপুর বেগমের বক্তব্যের জন্যে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন (ভারপ্রাপ্ত)জানান,আহত মিরাজের বোন বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছে,অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।