বাউফলে ১৯৯৬সনের বঙ্গবন্ধুর নামের জমি,এখন প্রভাবশালীদের দখলে,দেখার যেন কেহ নেই
বাউফল প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী বাউফল উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাশিপুর বাজারে মৃত মোঃ কাদের মোল্লা পিতা মৃত মোঃ তোরাব আলী মোল্লা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসার এক দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন। মোঃ কাদের মোল্লা তার নিজ নামের রেকর্ডীয় সম্মত্তির অংশ থেকে আট লক্ষ্য টাকার অর্থাৎ সোয়া ছয় শতাংশ সম্পত্তি কাশিপুর বাজারে ১৯৯৬ সনে বঙ্গ বন্ধুর নামে ছাপ কবলা দলিল করে দেন। আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি,বতমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনজু হাওলাদার, (দলিল লেখক)আবুল কালাম মৃধা ,সাবেক যুবলীগ সভাপতি আলাউদ্দিন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম হাওলাদার,মোঃ শাহজাহান শিকদার,আনিস পঞ্চায়েত, জাহাঙ্গীর মীর সাংবাদিক মোঃ নুরুজ্জামান মৃধা সহ এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ বঙ্গবন্ধুর নামে ভিত্তি স্থাপন করেন। অফিসটির ভিত্তি স্থাপন করলেও এখন পর্যন্ত নির্মান হয়নি কোন ঘর, এবং বঙ্গবন্ধুকে দেয়া সেই জমি বর্তমানে প্রভাবশালী এক নেতার দখলে
জমিদাতা মৃত্যু মোঃ কাদের মোল্লার নাতি মোঃ মামুন মোল্লা জানান,আমার দাদা বঙ্গবন্ধুকে ভাল বাসতেন এবং তার মৃত্যুর পর তারই ছেলে আমার আব্বু মোঃ আয়ুব আলী মোল্লা তার নিজ অর্থায়নে কাঠ বাঁশ দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসংসদ নামে একটি অফিস নির্মান করেন,কয়েক বছর পর আইয়ুব আলী দুনিয়ায় থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন,এর পর কাশিপুর বাজারের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসংসদ নামের অফিসটি দেখার কেহ রইল না, কাঠ বাঁশ নস্ট্য হয়ে ভেঙেপরে যায়,
আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি,বতমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনজু হাওলাদার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসংসদ এর জমির খোঁজ খবর নিতে গিয়ে এক পযার্য়ে এবং বলেন মোঃ কাদের মোল্লা ও তার পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতেন এবং তাকে ভালবেসে ১৯৯৪ সনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসংসদের নামে জরাজীর্ণ একটি জায়গায় কাঠ বাঁশ দিয়ে অফিস ঘর নির্মান করেন।
১৯৯৫ সনের শেষের দিকে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ঐ জমির মালিকানা দাবী করে হাতম আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাইদেরকে নিয়ে অফিসটি ভেঙ্গে ফেলে। এ দৃশ্য দেখে কাদের মোল্লা তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তখন তিনি সকলের সামনে কাদঁলেন এবং বললেন, যার জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ তার জন্য উঠানো ঘর ভেঙ্গে ফেললো।
আবেগপুলত কন্ঠে সবার সামনে বললেন আমার জমিতে বঙ্গবন্ধুর নামে অফিস করবো। তাই তিনি তার নিজের ভাগের কাশিপুর বাজারের সমস্ত সম্পত্তি বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করে দিলেন। তিনি এমন ভাবে বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসলেন তার পরিবারের কথা একটি বারের জন্যও ভাবলেন না।
উপুস্থিত সকলের সামনে এ কথাগুলো বললেন,এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া চাইলেন। কাদের মোল্লার পরিবার এখন অসহায় বাবার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে নিঃশ্ব হয়ে আজ তারা পথে বসেছে, কে রাখে তাদের খবর। অথচ তারই দেয়া সম্পত্তি এখন বিলুপ্তির পথে।
সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের দাবী তার পরিবারের খোজ খবর নেয়া হোক এবং তার দেয়া জমির উপর তারই নামে কাশিপুর বাজারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের অফিস গড়ে তোলা হোক।