মোঃআরিফ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর বাউফলে নাজিরপুর ইউনিয়নে ৬/৭/৮ নং ওয়ার্ডের, “প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর” ১০ টাকা কেজি চালের ফেয়ার কর্ডের চাল বিতরনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেকের কার্ড রয়েছে অথচ তারা চাল পায়না।আবার দস্তখত রেখে চাল আগামি মাসে দেব বলে ভোক্তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়। এমন অভিযোগ উঠেছে ডিলার সেলিম মৃর্ধার নামে।
ডিলার নিজে দস্তখত দিয়ে অনেকের নামের চাল তার নিজস্ব কিছু লোকজনের মাঝে বিতরন করে।এতে ভোক্তাদের মাঝে অনেক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জিব চন্দ্র শীল(৩০) সাংবাদিকদের বলেন গত মাসের ২৫ তারিখ আমি চাল আনতে গেলে আমার দস্তখত রেখে আমাকে পাঠিয়ে দেয়। এবং ডিলার বলে তোমাকে আগামি মাসে চাল দিবো। তিনি আরও বলেন আমার নামের জায়গায় অন্য লোক দস্তখত দিয়ে চাল নিয়ে গিয়াছে।
৬নং ওয়ার্ড ধানদী গ্রামের বাসিন্দা মো.সাজাহান চৌকিদারের সাথে ও এমনটি ঘটে। সে ২ মাস যাবৎ কোন চাল পায়নি অথচ তার নিবন্ধনভুক্ত কার্ড রয়েছে। তার নামের জায়গায়ও অন্য লোকের দস্তখত রয়েছে।
নাম বলতে অনিচ্ছুক অনেক ভুক্তভোগী ভোক্তা রয়েছেন তাদের সাথেও এমনটি করেছেন ডিলার সেলিম মৃধা। তাদের অনেকেরই নিবন্ধনভুক্ত কার্ড রয়েছে অথচ তারা চাল পায়না।
উল্লেখ্য যে ভোক্তাদের কাছ থেকে আরও জানতে পারা যায়, নিবন্ধন করার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে জন প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়া হয় ইউপি সচিবের মাধ্যমে। নিবন্ধনের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায়ের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় নিউজ ছাপানো হয়। তাতে কর্তৃপক্ষের একটুও টনকনড়ে না।
এ ব্যাপারে ডিলার সেলিম মৃধা বলেন ঘটনা সত্য নয়। বালাম বইতে অনেকের নাম রয়েছে কিন্তু রেজুলেশনে ভুল করছে তাই আমরা চাল দেইনি।
নাজিরপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এম মহসিন সাংবাদিকদের বলেন আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। কারন কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগ দেয়নি এমন কি ভুক্তভোগীরা ও আমার কাছে কিছু বলেনি। তবে ঘটনা সত্য কিনা আমি তার কাছে জানবো। আর আমি না জেনে কারো প্রতি কোন মন্তব্য করতে পারছিনা।