মোঃ নুরুজ্জামান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদাবুনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ওবায়দুল মাষ্টারের ছেলে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোয় বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক শিক্ষক রুহুল আমিনের বাড়িতে অনশন করছে নাজমা বেগম নামে এক স্কুল শিক্ষিকা।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর ) সকাল ১০টায় মাদার বুনিয়া ইউনিয়নের হাজী বাড়ীতে এ অনশন শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা দু’জনেই ২০১৫ সাল থেকে একই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে জানায় স্থানীয় জনসাধারণ ও ভুক্তভোগী নাজমা।
শিক্ষিকা নাজমা বেগম বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল কম্পাউন্ডে দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলো সে। এবং আমার কাছ থেকে কিছুদিন আগেও প্রেমিক রুহুল আমিন পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে এমনকি পিটিআই ট্রেনিং করার সময় রুহুল আমীনের ছোট ভাই আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেয়। আমি বিয়ের কথা বললে সময় ক্ষেপণ করতো। আমি তার বাড়িতে এসে দেখি সে বিবাহিত। এবং তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তসত্তা, তাই সে আমাকে মেনে না নিলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এদিকে সকাল থেকে প্রেমিকা নাজমা আক্তার রুহুল আমিনের বাড়ীতে অবস্থান কালীন রুহুল আমিন বাড়ী থেকে পলাতক রয়েছেন।
এব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, রুহুল আমিন এর আগেও এমন একটা ঘটনা ঘটিয়েছে ঐ মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক জানাজানি হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ দেন-দরবার করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। টাকা-পয়সা দিয়ে তার পরিবার বিষয়টি মিটমাট করেছে।
এনিয়ে ভুক্তভূগী পরিবার জানায়, আমাদের ছেলে নির্দোষ, ও একজন স্কুল শিক্ষক এলাকাবাসী যা বলছে তা মিথ্যা বানোয়াট, আমাদের সমাজে হেওপ্রতিপন্ন করার জন্য এ ষড়যন্ত্র চলছে।
বড় বিঘাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ জাফর হাওলাদার ঘটনাস্থলে মেয়ের ভাই, মাহাবুবের মুঠোফোনে ফোন করে জানায়, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে, এবং টাকা পয়সার একটা লেনদেন হয়েছে এটা সঠিক। আগামী কাল (১ জানুয়ারি ২২) উভয়পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মাদার বুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম মাসুম মৃধার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।