- বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের হাতে ৯ বার ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছ
মোঃ সাইফুল ইসলামঃ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর জেলা রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সুখীর ছোট ভাই, আক্তার হোসেন বিপ্লব (২৬) একই বাড়ির মাজেদ মোল্লার মেয়ে মারিয়া সুলতানা রিমি (১৯) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ৯ বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিন মাসের অন্তসত্বা হলে ভিকটিম কে জোরপূর্বক ওষুধ সেবন করিয়ে বাচ্চা নষ্ট করার ও অভিযোগ করেছেন তিনি।
মারিয়া সুলতানা রিমি স্বামীর অধিকার চাইতে গেলে অভিযুক্ত ধর্ষক আক্তার হোসের বিপ্লবের বড় ভাই রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সুখী ভিকটিম কে মারধর করেছেন। তাৎক্ষণিক রামগতি থানা ওসি সোলাইমান কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি অভিযুক্ত ধর্ষনকারীর বড় ভাই কে নিয়ে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। পরের দিন রামগতি ওসি সোলাইমান বিয়ের বিষয়টি মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেন এবং ধর্ষিত ঘটনা নোয়াখালী মাইজদি থানা ঘটেছে বলে সেখানে ডায়েরি করার পরামর্শ দেন বলেছেন ভিকটিম মারিয়া সুলতানা রিমি।
মারিয়া সুলতানা রিমি- আরো বলেনঃ ধর্ষককারীর
ভাই রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় প্রভাব দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন। এবং ওসি সোলাইমান তাদের প্রভাবে বিষয়টি অস্বীকার যান। ঘটনাস্থল নোয়াখালী মাইজদী থানায় ডায়েরি করতে যাওয়া নিয়ে ভয় পাচ্ছি, তাদের সেখানে অনেক প্রভাব। আমি নিজ জেলায় থানায় থানায় ও পথে পথে ঘুরে বিচার পাইনি, নোয়াখালী গেলে আমার জীবন ঝুঁকিতে পরে যাবে।
পক্ষান্তরে রামগতি থানা ওসি সোলাইমানের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেনঃ ভিকটিম ধর্ষণের কোনো অভিযোগ করেন নি। তিনি মারধরের অভিযোগ করেন এবং বিয়ের তারিখ নির্ধারণ বিষয়টিও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি, ফোনে একাধিক কল যুক্ত করা যায়নি।
উক্ত ঘটনায় রামগতিবাসী খুব মর্মাহত, তারা অচিরে এর সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছেন।