ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনামঃ
রূপগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত যুবদল নেতার মৃত্যুতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ চীনের বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ৬ লেন রাস্তার দাবীতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন ৮০ বছরের বৃদ্ধা নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা বোমা মেরে ছাত্রদের উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নীট কনসার্ন গ্রুপের এলডিপির মহাসচিব এড. রেদোয়ান আহমেদ এর সাথে আলাউদ্দিন প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ঔষধ বিতরণ কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদান খেলাফত মজলিসের ফিলিস্তিন-বাংলাদেশ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেব না: মুহাম্মদ আবদুল জব্বার

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

বাংলার শিরোনাম
  • আপডেটঃ ০৭:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 35

মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের এবং মামলার সাক্ষী হওয়ায় জালাল মিয়া (৫০) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে তার বোন জামাইয়ের প্রতিপক্ষরা। এসময় দেশীয় অস্র দিয়ে তার ডান হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কুপিয়ে জখম করা হয়।

স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

রবিবার রাত নয়টায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের বিছানায় কাঁদো  কাঁদো কন্ঠে জালাল মিয়া বলেন, আমি ২০১২ সালে আমার বড় বোনের জামাই গফফার মোল্লার কাছে নবীপুর মৌজার ১১৫ নং খতিয়ানের এসএ ১২৫৩/১২৫৬ দাগের ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করি। এছাড়া সেখানে আমার বোনের জামাই আরও কয়েকজন মালিকের কাছ থেকে সর্বমোট ১৪৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমার বোন জামাইকে এসব জমির ভোগ দখলে বাঁধা দিয়ে আসছে ওই এলাকার রফিক।

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

প্রায় তিন মাস আগে এ বিরোধের জেরে আমার ভাগিনার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে রফিক, সান্টু ও রাসেল সহ বেশ কয়েকজন। এছাড়া এসময় আমার বোন, ভাগিনা এবং আমার বোন জামাইকে মারধর করা হয়। পরে এঘটনায় আমার ভাগিনার স্ত্রী বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আমাকে স্বাক্ষী করা হয়। পরে তারা আমার কাছে বেশ কয়েকবার চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে না পারায় এবং এ মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার কারনে রফিকের নেতৃত্বে সান্টু, রাসেল, আল আমিন ও আবদুল হক ঘরামী আমাকে মারধর করেন।

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

তিনি আরও বলেন, রাতে আমার পাখিমারা বাজারের মৎস্য আড়ৎ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি বাড়ির দরজায় পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং বগি দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় আমি অজ্ঞান হয় পড়লে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মারধরের সময় আমার সঙ্গে থাকা ১ লাখ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।

এবিষয়ে জানতে রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তিনি রবিবার এলাকায় ছিলেন না বলেন জানান।

কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

আরও পরুনঃ জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেব না: মুহাম্মদ আবদুল জব্বার

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগসঃ

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

আপডেটঃ ০৭:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের এবং মামলার সাক্ষী হওয়ায় জালাল মিয়া (৫০) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে তার বোন জামাইয়ের প্রতিপক্ষরা। এসময় দেশীয় অস্র দিয়ে তার ডান হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কুপিয়ে জখম করা হয়।

স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

রবিবার রাত নয়টায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের বিছানায় কাঁদো  কাঁদো কন্ঠে জালাল মিয়া বলেন, আমি ২০১২ সালে আমার বড় বোনের জামাই গফফার মোল্লার কাছে নবীপুর মৌজার ১১৫ নং খতিয়ানের এসএ ১২৫৩/১২৫৬ দাগের ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করি। এছাড়া সেখানে আমার বোনের জামাই আরও কয়েকজন মালিকের কাছ থেকে সর্বমোট ১৪৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমার বোন জামাইকে এসব জমির ভোগ দখলে বাঁধা দিয়ে আসছে ওই এলাকার রফিক।

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

প্রায় তিন মাস আগে এ বিরোধের জেরে আমার ভাগিনার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে রফিক, সান্টু ও রাসেল সহ বেশ কয়েকজন। এছাড়া এসময় আমার বোন, ভাগিনা এবং আমার বোন জামাইকে মারধর করা হয়। পরে এঘটনায় আমার ভাগিনার স্ত্রী বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আমাকে স্বাক্ষী করা হয়। পরে তারা আমার কাছে বেশ কয়েকবার চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে না পারায় এবং এ মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার কারনে রফিকের নেতৃত্বে সান্টু, রাসেল, আল আমিন ও আবদুল হক ঘরামী আমাকে মারধর করেন।

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

তিনি আরও বলেন, রাতে আমার পাখিমারা বাজারের মৎস্য আড়ৎ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি বাড়ির দরজায় পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং বগি দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় আমি অজ্ঞান হয় পড়লে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মারধরের সময় আমার সঙ্গে থাকা ১ লাখ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।

এবিষয়ে জানতে রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তিনি রবিবার এলাকায় ছিলেন না বলেন জানান।

কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

কলাপাড়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা

আরও পরুনঃ জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেব না: মুহাম্মদ আবদুল জব্বার