এইচ এম মোশারেফ হোসেন সুজন ,পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২নং মির্জাগঞ্জ ইউপিতে গত ২৮ নভেম্বর রোজ রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের আঃ রশিদ হাওলাদার এর ছেলে এ্যাড. আবুল বাসার নাসির ইউপি চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কায় আলোচনার শীর্ষে থেকে জয় লাভ করেছেন।
একবার না পারিলে দেখ শতবার -একথার প্রেক্ষিতে জনগণ স্লোগানে, গানে, উচ্চ কন্ঠস্বরে এ্যাড. আবুল বাসার নাসিরকে ২৮/১১/২১ ইং তারিখের নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করেন জনগণ।
জনগণের কাছে প্রমাণ করে এগিয়ে আসছেন ও মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন বলে জানান জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর,মিঠু, কামাল,বাদল,রাসেল, এনামুল হক,বাদল,রাসেল,ও আরো ভোটারগণ। এছাড়াও এ্যাড. আবুল বাসার নাসির একজন ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামিলীগের সাথে জরিত। সাবেক জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। মির্জাগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক। নিজ অর্থয়নে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করে বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে সুনাম কুড়িয়েছেন। একনামে চিনতেন-জানতেন সবাই মানবিক ফেরিওয়ালা এ্যাড. আবুল বাসার নাসিরকে। মানুষের মাঝে খোঁজ খবর নিয়ে ভালোবাসা দিয়ে ২৮ তারিখ সফলতা অর্জন করে নিয়েছেন।
নির্বাচিত নতুনমুখ ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আবুল বাসার নাসির বাংলার শিরোনামকে বলেন জনগণ আমাকে ভালোবাসে। তাদের সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। জনগণ সুন্দর সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছে। আমি আগেও বলেছি শতভাগ বিজয় নিশ্চিত হবো, আমাকে আমার এলাকাবাসী এ আশ্বাস দিয়েছিলো। ২৮ নভেম্বর রোজ রবিবার ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে তার প্রমাণ করেছেন। মানুষকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান, স্নেহ দিয়ে সব কিছু সম্ভব ও নিশ্চিত করা যায়। আজ আমি জনগণের আমানত ভোটে জয়লাভ করেছি। আমি আমার বুকে হাত দিয়ে শপথ নিলাম জনগণের সুখে দুখে পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো, নিজেকে সবসময় সেবায় নিয়োজিত রাখবো। একমাত্র জনগণই সব পারেন একথাটা সত্য। ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন বিজয়ী হয়েছি আজ।
তিনি আরও বলেন, আমি ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালে নির্বাচন করেছি দুঃখজনক বিষয় হলো তখন জয়লাভ করেও রাখতে পারিনি।এই বার আমাকে যারা সমর্থন দিয়েছেন ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। মাথায় দাফনের কাপড় বেধে নেমেছি উপর আল্লাহ তিনি যা করেন। আমি জেলা আওয়ামিলীগ থেকে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। তাই আমি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু জনগণের ভালোবাসায় পারিনি। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার প্রার্থী পেয়েছেন ২৭৪৬। এছাড়া হাতপাখা-১৮২৬, ঘোড়া-১০৯, মোটরসাইকেল-৪৯।