মুছাপুর ইউপি’র উপ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

- আপডেটঃ ১০:২৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
- / 133

মুছাপুর ইউপি’র উপ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
প্রচার প্রচারণায় জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা। কাগজে-কলমে পাচঁজন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হলেও বাস্তবে নির্বাচনী দৌড়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে দুইজন। মোটরসাইকেল প্রতীকের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ এবং ব্যবসায়ী আলী হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
মুছাপুর ইউপি’র উপ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন আচরণ বিধি লংঘন করে ছেলের জন্য বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার ও ভোট চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষ প্রার্থী আলী হোসেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় তার কর্মী ও সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অনেককে টেলিফোন করেও শুভ’রজন্য কাজ করতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
মুছাপুর ইউপি’র উপ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় এবং মসজিদে অনুদান ও নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকাবাসীকে প্রভাবিত করছেন।
তবে সব অভিযোগ নাকচ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। তিনি বলেছেন এলাকায় যাতায়াত করলেও তিনি কারো পক্ষে ভোট চাইছেন না।
এব্যাপারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান শুভ বলেন, জনগন উন্নয়নের পক্ষে। আমরা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চাইনা। জনগণ আমাদের ভালোবাসে আমাদের বিগত দিনের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য। আমার নির্বাচনে বাবার দোয়া আশির্বাদ ছাড়া কোন ভুমিকা নাই। যারা এরকম অভিযোগ করে তারা মিথ্যা অভিযোগ করেন।
মুছাপুর ইউপি’র উপ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
আগামী ২৭ জুলাই বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচন। এ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে মাকসুদ হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় শূন্য পদে উপ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বৈধ প্রার্থীরা হলেন বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের সহধর্মিনী নার্গিস আক্তার ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ, ব্যবসায়ী আলী হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হানিফ কবির ।