রাঙ্গাবালীতে মাছের ট্রলারে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় দুই জলদস্যু (ডাকাত) গ্রেফতার

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনার চরের পূর্ব পাশে গভীর বঙ্গোপসাগরের মাছের ট্রলারে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় আলিম নুর ও তারেক নামের দুই দুর্ধর্ষ জলদস্যুকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সদর থানা ও মহেশখালী এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ জড়িত ডাকাত দলের সদস্য মোঃ আলিম নুর ওরফে আলমগীর (৩৮) মনুপাড়া গ্রামের খুরুশকুল ০৮নং ওয়ার্ডের মৃত্যু মোঃ হাসেমের ছেলে ও মোঃ তারেক (২১) মোহম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মহেশখালী মৃত্যু মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলেকে কক্সবাজার জেলা থেকে তাদের কে আটক করে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ। আটক কৃত ডাকাতের সাথে ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৮-০২-২০২৩ তারিখ পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনার চরের পূর্ব পাশে গভীর সমুদ্রে এমভি ভাই ভাই নামক মাছ ধরার ট্রলারে ২০/২৫ জনের সশস্ত্র ডাকাতের একটি দল ট্রলার দিয়ে এমভি ভাই ভাই নামক মাছ ধরার ট্রলারের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে গতিরোধ করে জেলেদের এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে জেলে খোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যায়। ডাকাতরা ট্রলারে উঠে দা, কিরিচ, চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা জেলেদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে ডাকাতরা ট্রলারের জেলেদের জিম্মি করে টাকা, কাপড়- মোবাইল সেট, মাছ ধরার জাল, মাছ সহ প্রয়োজনীয় ২০,০০০০০/- (বিশ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে। ডাকাত দলের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেতে ১৮ জন জেলের মধ্যে ০৯ জন জেলে সাগরে লাফিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয়। এতে ০৪ জন জেলে উদ্ধার হলেও একজন জেলে মারা যায়। এ ঘটনায় ট্রলার মালিক মোঃ মিরাজের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা নং-০৪, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয়।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, গভীর বঙ্গোপসাগরের মাছের ট্রলারে গুলি করে ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মাননীয় ডিআইজি, বরিশাল রেঞ্জ মোঃ আক্তারুজ্জামান এর নির্দেশনায়, পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম মহোদয় ও সহকারী পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী এর তদারকিতে গঠিত তদন্ত টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন সহ ঘটনায় জড়িত আসামীদের অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছি এবং আসামী আলিম নুর ওরফে আলমগীর ও মোঃ তারেক দুজন আসামীর কাছ থেকে খায়েরুল ও কালাম মাঝির ০২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করি। মামলার তদন্ত সহ পলাতক আসামীদের গ্রেফতারী অভিযান অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য আসামী তারেক ডাকাতির ঘটনা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান