নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ১নং রেল গেইটে সদর মডেল থানার রাইটার রুহুলের শেল্টারে রেলওয়েলের জায়গা দখল করে সেলিমের অবৈধ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে রেলওয়েলের জায়গা দখল করে অবৈধ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করলেও নিরব ভূমিকা পালন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর চোখের সামনেই গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা, রেলওয়ে স্টেশনের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে চলছে হরিলুট। জনমনে প্রশ্ন, কত টাকা মাসোয়ারা পাচ্ছে রাইটার রুহুল আমিন ও রেল কর্তৃপক্ষরে অসাধু কর্মকর্তারা। এতে করে থানা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন।
সূত্রে জানায়, গেলো বছরের ২৬ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৬টায় বাস ও ট্রেনের সংঘর্ষে ১ শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু ঘটে আহত ৮ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল এ দুর্ঘটনার কারণ অবৈধ স্থাপনা। গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্টেশনের প্রবেশ পথটি অবৈধ স্থাপনার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, আঁটকে পড়ে আনন্দ পরিবহনের একটি বাস ট্রেন তার গতি রোধ করতে না পেরেই আনন্দ পরিবহনের উপরে আচঁড়ে পড়ে ধাক্কা দেয়- মৃত্যু বরণ করে তিনটি তাজা প্রাণ। তবে নিহতরা বাসের যাত্রী ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার (ওসি) মোঃ শাহ জামান।
অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করার লক্ষে সংবাদমাধ্যম একটি লাইভ ভিডিও প্রকাশ করলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন তৎকালীন মাননীয় এসপি মহোদয় তাৎক্ষণিক অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করেন সদর থানার পুলিশ সহ রেল স্টেশনের কর্মকর্তা। চলাচলের রাস্তাটি প্রসারিত করার কিছুদিন পর মাননীয় এসপি মহোদয়ের নির্দেশ অমান্য করে রেলওয়ে স্টেশনের অনুমতি না নিয়েই সদর থানার রাইটার রুহুলের নেতৃত্বে সেই যায়গায় একটি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।
রাইটার রুহুলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যম কে বলেন- সেলিম আমাদের ছোট ভাই এ দোকান আপনাদের কথায় বন্ধ করা হবেনা।
নারায়ণগঞ্জের রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার মোঃ কামরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যম কে বলেন আমার অনুমতি ছাড়া রাতের অন্ধকারে এই দোকান নির্মাণ করে সেলিম ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী। এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করা তিনি ফোন রিসিভ করেনি।