শাহীন চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের হ্যাঁ
এম.জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় জনতা ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শাহীন হাওলাদার বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টার দিকে বিশেষ কাজে উপজেলা পরিষদে যাই। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে দশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যন আমাকে দেখে গুন্ডা শালা বলে মন্তব্য করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তাঁর সাথে থাকা ৭/৮ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাঁর পালিত সন্ত্রাসী মো: রাসেল প্যাদা (৩৫) আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে পাঁজরে আঘাত করে। জ্যাকেট গায়ে থাকায় আমি প্রাণে বেচে যাই। এছাড়াও ওই চেয়ারম্যানের সাথে থাকা সন্ত্রাসী মো: মনির হোসেন (৩৮) প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, এঘটনার পরে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও তাঁর বাহিনীরা পৌর শহরে প্রকাশ্য মহড়া দিয়েছে। আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।
এব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের চেম্বারের সামনে দিয়ে রওয়ানা হয়ে ইউএনও সাহেবের চেম্বারের দিকে রওয়ানা হয়ে যেতেই শাহিন চেয়ারম্যান মাঝখানের এক রুম থেকে বের হয়ে আসলে তাকে আমি সালাম দিলে আমাকে এ গুন্ডা শালা বলেই একটা ধাক্কা দেয়। পরে আমার সাথে থাকা পোলাপান তাকে দুই তিনটা দেয়, তখন আমার কিছু করার ছিলনা।
বাউফল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল আমিন জানান, অফিসের বারান্দায় দুই চেয়ারম্যানের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। তবে অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।