সংস্করণে অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণ গোপালিয়া সেতু

সাংবাদদাতাঃপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাছিপাড়া-গোপালিয়া বাজার সংলগ্ন সেতুটি দীর্ঘ দিন যাবত বেহাল দশায় রয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সেতুটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।প্রতিনিয়ত সেতুর উপর দিয়ে ঝুকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে সেতুর আশেপাশের মানুষদের।

স্থানীয়রা জানান, বাউফলের প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে পশ্চিম কাছিপাড়া ও পাকডাল সীমান্তবর্তী গোপালিয়া খালের উপর দিয়ে সেতুটি নির্মান করে।

সরজমিনে দেখা যায়, সেতুটি বর্তমানে নড়বড়ে অবস্থায় আছে। সেতুর মাঝখানে দুই স্থানের ঢালাই পড়ে গিয়ে রেলিং বের হয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে এবং অনেকাংশে সেতুর দুইপাশের রেলিং নেই।সেতুর নিচের পাইলিং মরিচা ধরে ক্ষয় হয়ে গেছে।যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।বর্তমানে চলাচলের জন্য স্থানীয়রা ঝুকিপূর্ণ ভাবে পারাপার হচ্ছে।এমনকি সেতুর পাশের রেলিংও ভেঙে পড়েছে।সেতুটি দিয়ে পশ্চিম কাছিপাড়া -গোপালিয়া বাজার,উত্তর পাকডাল,দক্ষিণ পাকডাল, মান্দারবন ও কারখানা গ্রামের এক – দেড় হাজার মানুষ দৈনিক চলাচল করে। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি বলায় শুরু হলে সবচেয়ে বেশি বিপদে থাকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ব্যবসায়িকরা।

স্থানীয় ব্যবসায়িক বাদল মৃধা আনন্দবাজার কে বলেন,দীর্ঘ বছর ধরে সেতুটি বেহাল অবস্থা।স্থানীয় জনসাধারণ সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের জন্য ব্যপক সমস্যা হচ্ছে। সেতুটি মেরামত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সেতুটি কাছিপাড়া ডিগ্রি কলেজ,১১ নং পশ্চিম কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পশ্চিমা কাছিপাড়া ঐতিহাসিক মৃধা বাড়ি জামে মসজিদ,পশ্চিম কাছিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, মধ্য কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর পাকডাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর পাকডাল ফজলুর রহমান হাফিজীয়া মাদ্রাসা ও গোপালিয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়িক ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পথ।কথিত জনপ্রতিনিধি বলেন আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাব্যাক্তি বলেন কারো কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান না’।

এ বিষয় পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ লতিফ হোসেন আনন্দবাজারকে বলেন,সেতুটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান