স্টাফ রিপোর্টারঃ আর মাত্র ১দিন পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধমীয় উৎসব
দুর্গাপূজা আরম্ভ হবে।।
প্রস্তুত পাগলনাথ ও রামসীতা মন্দির এর দূর্গা মন্ডপ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় বিধিবিধান সমুন্নত রেখে দুর্গাপূজার আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য সনাতন সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। কারণ, এই বছরেও করণা মহামারীর প্রাদুর্ভাব কমেনি । করোনা আতঙ্কের আবহেই এবার দেবীপক্ষের সূচনা হবে। আর মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই এবার হচ্ছে মাতৃবন্দনা
এ প্রসঙ্গে পাগলনাথ ও রামসীতা মন্দিরের সেবায়েত শ্রী শিবু দাস মহন্ত বলেন, করোনা মহামারীর কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশ্ঙাকা রয়েছে। আর তাই সংক্রমণ এড়াতে এবছরেও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আমাদের মন্দিরের পূজার মন্ডপ সেভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং আমরা সেভাবেই প্রস্তুত রয়েছি।
পঞ্জিকা মতে এবার দেবী দুর্গার আগমন হচ্ছে দোলায়। দোলায় চড়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে স্বামীর ঘর থেকে রওনা দেবেন তিনি। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, দোলায় আগমন এর অর্থ মড়ক। ফলে, পূজার বা তার পরবর্তী সময়েও মহামারীর পরিস্থিতি বজায় থাকার আশংকা রয়েছে। তবে, মায়ের গমন এবার গজে। অর্থাৎ হাতিতে চড়ে মা বাপের ঘর ছেড়ে পাড়ি দেবেন স্বর্গে। গজে চড়ে গমনের ফল শুভ হয়।
উল্লেখ,পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে এ পূজার আয়োজন করায় এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। আবার রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাত্রার আগে শ্রীরাম চন্দ্র দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে। এ জন্যই দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।