সরকারি প্রকল্পের নামে ফসলের জমি নষ্ট করে ব্যাক্তি মালিকানা রাস্তা নির্মানের অভিযোগ

সরকারি প্রকল্পের নামে ফসলের জমি নষ্ট করে ব্যাক্তি মালিকানা রাস্তা নির্মানের অভিযোগ

এম,সাইদুর রহমান ক্রাইম রিপোর্টার:

পটুয়াখালীর বাউফলে ফলনশীল রবিশস্য ফসল নষ্ট করে সরকারি প্রকল্পের নামে মালিকানাধীন জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর কাছিপাড়া এলাকার আইয়ুব আলী খান’র বাড়ির পূর্ব পাশে পলাশ খান ও জাফর খানের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর মাটি কেটে রাস্তা নির্মান করার ঘটনা ঘটে।এতে ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ নাসিরউদ্দিন খান সঠিক সমাধানের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বরাবর স্বহস্তে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজে আসেনি।

ভুক্তভোগীরা জানান,কাছিপাড়া মৌজার ৪৭৭ খতিয়ানের ১০৩৭,১০৩৮,১০৩৬ ও ১০০২ দাগের মোট ১ একর ৩০ শতাংশ জমি আমাদের পৈত্রিক রেকর্ড সম্পত্তি।বর্তমানে ওই জমিতে আমরা কৃষি রবিশস্য মরিচ,বাদাম, মুগডাল,আলু সহ নানা প্রজাতির শস্য রোপণ করেছি।তদারকির দ্বায়িত্বে থাকা মোতাহার হোসেন হাওলাদার আমাদের কারো কাছে কিছু না বলে আমাদের পৈত্রিক রেকর্ড সম্পত্তির উপর মাটি কেটে রাস্তা নির্মানের কাজ করেন।আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।সোনাই মৃধা বাড়ির উত্তর পাশে পশ্চিম মুখি থেকে হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এমপির বিশেষ বরাদ্দের টাকায় ১২শ ফিট্ মাটির রাস্তার কাজ চলছে।কিন্তু, স্বার্থন্বেশীর কারনে ওই রাস্তা পশ্চিম দিকে না নিয়ে পাইনের বাড়ির দিকে মাটি কাটতে শুরু করে।যা আমাদের পৈত্রিক রেকর্ড সম্পত্তির উপর ফলনশীল রবিশস্য ফসল নষ্ট করে। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, “জনস্বার্থে রাস্তা করুক,তাতে আমাদের কোনরূপ আপত্তি নেই কিন্তু তাই বলে আমাদের পৈত্রিক রেকর্ড সম্পত্তির উপর দিয়ে নিবে আমরা জানতেনও পারবো না!আমরা কখনোই আমাদের জমি দিয়ে রাস্তা দিবো না”।

এ বিষয় কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আনন্দবাজারকে বলেন, সোনাই মৃধা বাড়ির উত্তর পাশের পশ্চিম মুখি থেকে হিস্যাজাত পর্যন্ত এমপি সাহেবের বিশেষ বরাদ্দকৃত ১২শ ফিট্ রাস্তার মাটির কাজ চলছে।কাজে বাঁধা পরেছে কি-না তা আমি জানি না। আমার কাছে এ বিষয় কেউ অভিযোগ করেনি।

এব্যপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তার ব্যবহীত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও (০১৭১০০০৬২১৬) তিনি ফোন রিসিভ করেনি।যানা গেছে, (পিআইও) রাজিব বিশ্বাস যে কোন কাজের অভিযোগ পেলে সবসময়ই গরিমিশি করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মতামত জানান