সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ফিরে আরমান হোসেন:
মানুষ যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে তখন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপো এলাকায় চলছে মাদক ব্যবসা।
কয়েকদিন আগেও পদ্মা ডিপোর আশেপাশে পাড়া-মহল্লায় মাদক বিক্রি হতো অনেকটা প্রকাশ্যে। এখন প্রকাশ্যে নেই, তবে থেমে নেই মাদক বিক্রেতাদের তৎপরতা। বিভিন্ন কৌশলে তারা মাদক বিক্রি করছে।জানা গেছে, বার্মা স্টান্ড এলাকা ও আশেপাশে রয়েছে অর্ধ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। এর মধ্যে কয়েকজন নারীও আছেন। পুলিশের তৎপরতার কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন প্রকাশ্যে না থাকলেও মাদকসেবীদের কাছে তারা ঠিকই মাদকদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে।মাদক ব্যবসায় জড়িত এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখন আর মাদকসেবীরা মহল্লায় আসে না মাদক কিনতে। যারা নেশা করে তাদের কাছে আমাদের ফোন নম্বর রয়েছে। কল করলেই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয় মাদক। তবে এর জন্য একটু বেশি দাম দিতে হয়।’ তিনি জানান, আগের তুলনায় এখন মাদকের চাহিদা বেশি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তারা মাদক আনতে পারছেন না।
মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টিম কয়েকদিন ধরে অভিযানে নেমেছে। মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের মধ্যে রয়েছেন নুরুন্নাহার, জুয়েল হোসেন, টিটু, মামুন, সুমন সাউদ, শেখ জিতু, শফিকুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, সম্রাট ভুইয়া, সজিব, হৃদয়, ফয়সাল মোল্লা, জয়নব, আজিম, মুক্তার হোসেন, জাহিদ হাসান, রবিন, রাজু, আবুল হোসেনসহ আরো কয়েকজন। মাদক বিক্রেতা ও সেবীরা শুধু মাদকের সাথে যুক্ত না।এরা বিভিন্ন অপরাধের সাথেও জড়িত। অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে বার্মা স্টান্ড এলাকা ও তার আশপাশের এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। পুরো এলাকাটি ডিপো কেন্দ্রীক তাই অধিকাংশ তেলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই মাদক সেবনকারী হিসেবে চিহ্নিত। প্রশাসনের তালিকায় বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের নাম রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শুধু তারা নন, মাদকসেবীদেরও ধরা হচ্ছে।