নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁও সাদিপুর ইউপি ৯নং ওয়ার্ড থেকে মোড়ক প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদে নির্বাচন করছে কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে মোঃ নুর নবী। যিনি এলাকার জনগনের নিকট একজন সিটিং ও চিটিংবাজ নামে পরিচিত। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার এক নিরীহ পরিবারের অসহায় সহজ সরল অবলা নারীর সাথে বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের যৌতুক হিসেবে মেয়ে পক্ষ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিবে বলে দুই পক্ষের সমজোতাও হয়। দিন তারিখ নির্ধারন করে অগ্রীম পঞ্চাশ হাজার টাকা কনের পক্ষ বর পক্ষের অভিভাবকদের নিকট অগ্রীম প্রদান করে। সেই পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে বর নুর নবী উধাও হয়ে যায়।
ফলে মেয়ের অভিভাবক দীর্ঘ ছয়মাস অপেক্ষা করে লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিতে বাধ্য হয়। পরে মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে জেনে চিটার নুরনবী বাড়ি চলে আসে। এভাবে দিনের পর দিন এলাকার নিরীহ মানুষদের ঠকিয়ে আসছে নুরনবী। এমনকি জায়গা জমি খারিজ তথা মামলা মোকদ্দমা দালালী সহ অসংখ্য চিটিংবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি গত কিছুদিন পূর্বেও লটারীর খেলার নামে আরেক চিটিংবাজির সুযোগ নেয় কথিত সাংবাদিক নুরনবী। প্রথম পুরষ্কার হোন্ডা দেয়ার নাম করে নিজ এলাকায় লটারী ব্যবসার আয়োজন করে।
যেখানে এলাকার এক থেকে তিন হাজার সাধারন মানুষদের কাছ থেকে দশ পনের লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশাল স্ট্রেজ ও শোডাউন করে জনগনের সাথে ভেলকিবাজি করে পুরষ্কার দেয়ার দিন তারিখ নির্ধারন করে। তার তিন দিন পূর্বেই লটারীর পুরষ্কার অন্যত্র বিক্রি করে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জনগন তাকে বিভিন্ন জাগায় খোজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে অগত্যা লটারীর পুরষ্কার পাওয়ার হাল ছেড়ে দেয়। এভাবে দিনের পর দিন তার প্রতারনার স্বীকার হয়ে তাকে অনেকেই চিটিং ও চিটিংবাজ নুরনবী হিসেবে আক্ষায়িত করে। তবে সম্প্রিতি নিজেকে একজন অনলাইন ভুয়া টিভি সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়। তাতে নিরীহ জনগন তার শত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। সেই কথিত সাংবাদিক নুরনবীই সাদিপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার হতে মরিয়া।
তবে এ বিষয়ে নুরনবীর সাথে কথা বললে চাইলে তিনি বলেন যারাই আমার বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেরই অভিযোগ নুরনবীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে পুরো ৯নং ওয়ার্ড গিলে খাবে। তাই একজন দক্ষ ও সৎ ব্যাক্তিকে সাদিপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচিত করতে চায়।