লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পূর্ব চরশাহী ইউনিয়নের জনাব, ছাব্বির আহম্মদ ভূঁইয়ার দাদা জনাব, ফজলুর রহমান ভূঁইয়া গত ১৭/০৩/১৯৭৩ খ্রিঃ তারিখে দক্ষিণ পূর্ব চরশাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৪ স্কুল ঘর নির্মাণের জন্য ৫০ শতাংশ জমি দান করেন।
বর্তমানে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিপন চন্দ্র মজুমদার ম্যানেজিং কমিটি’তে প্রাপ্য দাতা কে না রেখে, তার সহযোগী কুচক্রী মহলের কিছু লোক কে নিয়ে কমিটি গঠন করে দীর্ঘ ১১ বছর বিভিন্ন অনিয়মের সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। এর ফলে স্কুলে কোনো উন্নতি হচ্ছে না।
স্কুলের নতূন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য বহুবার বলার সত্ত্বেও, অভিযুক্ত ব্যক্তি না শুনে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেন। এর ধারাবাহিকতায় কমিটি গঠন নিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ জমি দাতার ছেলে মো সিরাজুল ইসলাম মামুন কে মারধর করে। মারধর করেই ক্ষিপ্ত হয়নি, তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে হয়রানি করে।
তথ্যানুসন্ধান করে জানা যায়, উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিপন চন্দ্র মজুমদার তার সহযোগীদের সাহায্যে স্কুলের বিভিন্ন সম্পদ নষ্ট করে যাচ্ছেন। এবং উক্ত স্কুলের সভাপতি আব্দুর রহিমের ভাই প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট বিতরণ নিয়েও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও মুখ খুলতে নারাজ ভুক্তভুগীগণ।
গোপন সূত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষক রিপন চন্দ্র মজুমদারের সহযোগীতায় স্কুলের সভাপতির ভাতিজা মোঃ কাফি স্কুলের বিদ্যুৎ অপচয় করে তাদের ভাড়া গাড়ি পরিষ্কার করে।
উক্ত বিষয়াদি গুলো সমাধানের জন্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকায় আবেদন পত্র প্রদান করেন ভুক্তভুগীগণ। এবং তারা জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।