ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনামঃ
বিশিষ্টজনদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত “বাউফল সাংবাদিক ক্লাব” এর কমিটি ঘোষণা রূপগঞ্জে যানজট নিরসনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন কুয়াকাটায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে বন্দর ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল দুমকিতে গণধর্ষণের ঘটনায় অপর আসামি সিফাত মুন্সি গ্রেফতার স্কাউট পিএস চূড়ান্ত মূল্যায়নে বরিশাল বিভাগে কলাপাড়া সেরা নারায়ণগঞ্জে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

মোঃ রাকিবুল হাসান
  • আপডেটঃ ০৫:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 149

জাল সনদে আ'লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

পটুয়াখালীর দুমকীতে আওয়ামী লীগ নেতা ও  আজিজ আহম্মেদ কলেজের হিসাবরক্ষণ বিষয়ের প্রভাষক  ফরিদ আহমেদ এর স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিটি জাল সনদে চাকরি নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের টাকা আজও জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।

জানাগেছে  তিনি ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর  উপজেলার মুরাদিয়া বশির উদ্দিন আলিম মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে আবেদন করেন। সে লক্ষে ২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বরে বাছাই কমিটি ও ২৩ ডিসেম্বরে কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়োগ পত্র ইস্যু করলে  ওই দিনই (২৩ ডিসেম্বর)  যোগদান করেন। ২০১০ সালের ১ নভেম্বর এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন ভাতা পেতে থাকেন।

২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল পরিদর্শন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দেব দুলাল ভট্টাচার্য এবং শিক্ষা পরিদর্শক মোঃ আবদুস সালাম  সরেজমিন মাদ্রাসা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করলে এনটিআরসি’র সনদটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হলে  ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ও  ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সনদটি সঠিক নয় ( উত্তীর্ণ রোলধারী অন্য ব্যক্তি) মর্মে পত্র ইস্যু করেন এবং উক্ত সনদধারীর বিরুদ্ধে আইনতগত ব্যবস্থা নিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ মর্মে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নাহিদ আক্তার লিটিকে বিভিন্ন সময়ে রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে পত্র পাঠালেও তা গ্রহণ না করায় কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত এসেছে মর্মে জানাগেছে ।  বিষয়টি অবগত হলে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি  নাহিদ আক্তার লিটি  মহামান্য  সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ চার জনকে বিবাদী করে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। ওই রীট পিটিশন নম্বর ১৫১৫৬/২০১৬ তারিখ- ১৭/০১/২০১৭। দীর্ঘ সময় পরে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও উল্লেখিত ওই পত্রটিতে তারিখ ছিলো- ২০ আগষ্ট ২০২০ খ্রি.। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করেনি মর্মে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

অভিযুক্ত নাহিদ আক্তার লিটি অবৈধ ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের  পাঁচ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার চারশত তেরো টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত  করার পত্র দাখিল করার নির্দেশ দেন সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল কাদের। এ বিষয়ে বর্তমান অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রব গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পূনরায়  রেজিস্ট্রি ডাকযোগ পত্র প্রেরণ করলেও তিনি ( নাহিদ আক্তার লিটি গ্রহণ না করায় তা ফেরত এসেছে। জানা গেছে,  নাহিদ আক্তার লিটি’র স্বামী উপজেলার  আজিজ আহম্মেদ কলেজের এইচ এস সি (বিএমটি) শাখার হিসাবরক্ষণ বিষয়ের প্রভাষক ও মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়  থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া জাল সনদে চাকরি দেন তার স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিটিকে। এছাড়া তিনি দলের প্রভাব খাটিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কলেজে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতেন।  ক্লাস না করে কলেজে এসে স্বাক্ষর করে চলে যেতেন। কলেজের  অধ্যক্ষ এ বিষয়ে কথা বললে  হুমকি ধমকিসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান আহসানুল হক। ক্ষমতার দাপটে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি তখন।

জুলাই বিপ্লবকালে (ছাত্রজনতার আন্দোলন) ছাত্রজনতাকে বাঁধা সহ মারমুখি অবস্থানে দেখা গেছে যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।  আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও তার দাপট না কমায় এবং কলেজের  শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অতিষ্ঠ হয়ে কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ বরাবর চাকুরিচ্যুত করার ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ দাখিল করেন শিক্ষক কর্মচারীরা।

উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে  গভর্ণিং বডি  সাময়িক বরখাস্ত করেন ওই শিক্ষককে।  এ বিষয়ে কলেজ গভর্ণিংবডি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বর্তমানে তিনি( ফরিদ আহমেদ)সাময়িক বরখাস্ত হলেও বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে কলেজ সূত্রে জানাগেছে।  অভিযুক্ত নাহিদ আক্তার লিটির ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। আজিজ আহম্মেদ কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রভাষক ফরিদ আহমেদের ভাষ্য, কি কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তাঁর দাবি তাঁকে বিধিবহির্ভূতভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রব জানান, গভর্ণিংবডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে আত্মসাতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে রেজিস্ট্রি ডাকযোগ  নাহিদ আক্তার লিটিকে পত্র পাঠানো হলেও তিনি ফেরত পাঠিয়েছেন। তাঁর স্বামী ফরিদ আহমেদের সাথে সালামপুর আমিনিনিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যোগাযোগ করেছেন। তাঁর স্বামী কিছু দিন সময় চেয়েছেন। টাকা জমা না দিলে প্রাতিষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হবে। আজিজ আহম্মেদ কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ( এডহক) নাসরিন জাহান ‘বাংলার শিরোনামকে‘ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ফরিদ আহমেদ প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থাকা মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়েছেন। কলেজের শিক্ষক- কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন।  এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষক – কর্মচারীরা অভিযোগ দাখিল করছেন। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগসঃ

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

আপডেটঃ ০৫:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

পটুয়াখালীর দুমকীতে আওয়ামী লীগ নেতা ও  আজিজ আহম্মেদ কলেজের হিসাবরক্ষণ বিষয়ের প্রভাষক  ফরিদ আহমেদ এর স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিটি জাল সনদে চাকরি নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের টাকা আজও জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।

জানাগেছে  তিনি ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর  উপজেলার মুরাদিয়া বশির উদ্দিন আলিম মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) পদে আবেদন করেন। সে লক্ষে ২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বরে বাছাই কমিটি ও ২৩ ডিসেম্বরে কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়োগ পত্র ইস্যু করলে  ওই দিনই (২৩ ডিসেম্বর)  যোগদান করেন। ২০১০ সালের ১ নভেম্বর এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন ভাতা পেতে থাকেন।

২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল পরিদর্শন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দেব দুলাল ভট্টাচার্য এবং শিক্ষা পরিদর্শক মোঃ আবদুস সালাম  সরেজমিন মাদ্রাসা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করলে এনটিআরসি’র সনদটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হলে  ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ও  ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে সনদটি সঠিক নয় ( উত্তীর্ণ রোলধারী অন্য ব্যক্তি) মর্মে পত্র ইস্যু করেন এবং উক্ত সনদধারীর বিরুদ্ধে আইনতগত ব্যবস্থা নিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ মর্মে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নাহিদ আক্তার লিটিকে বিভিন্ন সময়ে রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে পত্র পাঠালেও তা গ্রহণ না করায় কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত এসেছে মর্মে জানাগেছে ।  বিষয়টি অবগত হলে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি  নাহিদ আক্তার লিটি  মহামান্য  সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ চার জনকে বিবাদী করে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। ওই রীট পিটিশন নম্বর ১৫১৫৬/২০১৬ তারিখ- ১৭/০১/২০১৭। দীর্ঘ সময় পরে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও উল্লেখিত ওই পত্রটিতে তারিখ ছিলো- ২০ আগষ্ট ২০২০ খ্রি.। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করেনি মর্মে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

অভিযুক্ত নাহিদ আক্তার লিটি অবৈধ ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের  পাঁচ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার চারশত তেরো টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত  করার পত্র দাখিল করার নির্দেশ দেন সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল কাদের। এ বিষয়ে বর্তমান অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রব গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পূনরায়  রেজিস্ট্রি ডাকযোগ পত্র প্রেরণ করলেও তিনি ( নাহিদ আক্তার লিটি গ্রহণ না করায় তা ফেরত এসেছে। জানা গেছে,  নাহিদ আক্তার লিটি’র স্বামী উপজেলার  আজিজ আহম্মেদ কলেজের এইচ এস সি (বিএমটি) শাখার হিসাবরক্ষণ বিষয়ের প্রভাষক ও মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়  থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া জাল সনদে চাকরি দেন তার স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিটিকে। এছাড়া তিনি দলের প্রভাব খাটিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কলেজে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতেন।  ক্লাস না করে কলেজে এসে স্বাক্ষর করে চলে যেতেন। কলেজের  অধ্যক্ষ এ বিষয়ে কথা বললে  হুমকি ধমকিসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান আহসানুল হক। ক্ষমতার দাপটে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি তখন।

জুলাই বিপ্লবকালে (ছাত্রজনতার আন্দোলন) ছাত্রজনতাকে বাঁধা সহ মারমুখি অবস্থানে দেখা গেছে যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।  আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও তার দাপট না কমায় এবং কলেজের  শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অতিষ্ঠ হয়ে কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ বরাবর চাকুরিচ্যুত করার ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ দাখিল করেন শিক্ষক কর্মচারীরা।

উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে  গভর্ণিং বডি  সাময়িক বরখাস্ত করেন ওই শিক্ষককে।  এ বিষয়ে কলেজ গভর্ণিংবডি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বর্তমানে তিনি( ফরিদ আহমেদ)সাময়িক বরখাস্ত হলেও বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে কলেজ সূত্রে জানাগেছে।  অভিযুক্ত নাহিদ আক্তার লিটির ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। আজিজ আহম্মেদ কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রভাষক ফরিদ আহমেদের ভাষ্য, কি কারণে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তাঁর দাবি তাঁকে বিধিবহির্ভূতভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

উত্তর মুরাদিয়া বশিরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রব জানান, গভর্ণিংবডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে আত্মসাতের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে রেজিস্ট্রি ডাকযোগ  নাহিদ আক্তার লিটিকে পত্র পাঠানো হলেও তিনি ফেরত পাঠিয়েছেন। তাঁর স্বামী ফরিদ আহমেদের সাথে সালামপুর আমিনিনিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যোগাযোগ করেছেন। তাঁর স্বামী কিছু দিন সময় চেয়েছেন। টাকা জমা না দিলে প্রাতিষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হবে। আজিজ আহম্মেদ কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ( এডহক) নাসরিন জাহান ‘বাংলার শিরোনামকে‘ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ফরিদ আহমেদ প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থাকা মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়েছেন। কলেজের শিক্ষক- কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন।  এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষক – কর্মচারীরা অভিযোগ দাখিল করছেন। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জাল সনদে আ’লীগ নেতার স্ত্রীকে চাকরি, আত্মসাতের টাকা জমা হয়নি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে