ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনামঃ
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের আগমনে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মাঠ পরিদর্শন দশমিনায় অটোচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার কৃষকলীগ নেতার গুদাম থেকে সরকারি চাল পাচারের সময় ১১ বস্তা চাল জব্দ কুয়াকাটায় বাংলাভিশন প্রতিনিধি মিরনকে কুপিয়ে বাসার সামনে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা দুমকীতে অনাহারে থাকা সেই পাঁচ সন্তানের জননীর পাশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জমজালো আয়োজনে কলাপাড়ায় প্রথম বিভাগ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধন আইনজীবীদের সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা শার্শায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় জমি দখল ও হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন দুমকিতে সিরাজ উদ্দিন আহমেদ স্মৃতি পদক প্রদান

কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিককে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেটঃ ১০:২৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / 204

কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিককে

কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জ্বালানী তেল চোর চক্রের দৌড়াত্ম । একদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তা অপরদিকে স্থানীয় পর্যায়ের সন্ত্রাসীদের নিয়মিত মাসোহারা প্রদান করে মুল হোতা আবু সিদ্দিক চালিয়ে যাচ্ছে চোরাই জ্বালানী তেলের রমরমা বাণিজ্য ।

সারা বছর জুড়েই নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কে তেল চোরদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ।

স্থানীয়দের অভিযোগ বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ এলকায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিন অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে কয়েকটি অবৈধ জ্বালানী তেলের দোকান।

জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিক

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মামুনের পরোক্ষ ও প্রত্যাক্ষ শেল্টারে আবু সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিন চক্র ৫/৬ টি অবৈধ জ্বালানী তেলের দোকান দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নগ্ন কর্মকাণ্ড ।

এর মধ্যে নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স, বা টিন সার্টিফিকেট। বন্দর থানা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ পূর্বক চালাচ্ছে তাদের গাড়ি থেকে তেল নামানোর কাজ। মহাসড়কের তেল চোরদের ভয়ে স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারন তেলচোর আবু সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিনের রয়েছে ডিবি পুলিশের শেল্টার।

মহাসড়কের ঢালে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড।

এমনকি বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ী চালকদের সাথেও রয়েছে গভীর সর্ম্পক। মহাসড়কে একের পর এক অবৈধভাবে গড়ে উঠা তেলের দোকান নিয়ে শংকিত সচেতন মহল।

সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অবৈধ জ্বালানি তেলের ব্যবসা জমে উঠেছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বন্দরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় কয়েশত অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান বসিয়ে অর্থলোভি ব্যক্তিরা ব্যবসা করছে, প্রশাসন তা দেখেও নিরব। সচেতন মহলের ধারনা অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের ফলে পরিবেশ দূষন করে আসছে।

জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিক

পেট্রোলিয়াম এ্যক্ট, ১৯৩৪ ও তদধীন প্রনীত বিধিমালার শর্তাবলী অনুসারে কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠাকালের অনুমোদিত নকশা বিহীন এবং বিষ্ফোরক লাইসেন্স বিহীন অননুমোদিত স্থানে বা আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেলের ডিপো বা দোকান স্থাপন করা যাবে না। পেট্রোল- ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ণ অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

অথচ বন্দরে মুদীদোকানসহ বিভিন্ন দোকান গুলতে এই জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে যাচ্ছে সাধারন ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এমনকি কোন কাগজপএ ছাড়াই। গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর থানার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ, মদনপুর, ফুলহরসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে অস্থায়ী ও স্থায়ী অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের দেখা মিলে।

এছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি তেল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা যায় ভূয়া অনুমোদনের ডিলার ও এজেন্ট এর স্টিকার যুক্ত সাইন বোড লাগিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে। অবৈধ দোকান গুলোতে তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও ঝুকিপূর্ণ। মালবাহি ট্রাক, কন্ট্রিনার, প্রাইভেটকার, নসিমন ও বিভিন্ন পন্যবাহী গাড়ীর চালকদের কাছে এই তেলের বেশ কদর রয়েছে।

এলাকার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়ক ও মহাসড়কের পাশে এমন ধার্য্য জ্বালানী তেলের দোকান থেকে প্রতি মাসেই ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মামুন তেল চোরদের হোতা সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিনকে শেল্টার দিয়ে লাখ টাকা মাসোহারা আদায়ের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট ।

তাই পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষাসহ অবৈধ এমন ব্যবসা বন্ধে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সকলেই ।

শার্শায় দু’মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, আরোহী নিহত ও আহত ২

নিউজটি শেয়ার করুন

কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিককে

আপডেটঃ ১০:২৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিককে

কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না জ্বালানী তেল চোর চক্রের দৌড়াত্ম । একদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তা অপরদিকে স্থানীয় পর্যায়ের সন্ত্রাসীদের নিয়মিত মাসোহারা প্রদান করে মুল হোতা আবু সিদ্দিক চালিয়ে যাচ্ছে চোরাই জ্বালানী তেলের রমরমা বাণিজ্য ।

সারা বছর জুড়েই নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কে তেল চোরদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ।

স্থানীয়দের অভিযোগ বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ এলকায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিন অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে কয়েকটি অবৈধ জ্বালানী তেলের দোকান।

জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিক

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মামুনের পরোক্ষ ও প্রত্যাক্ষ শেল্টারে আবু সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিন চক্র ৫/৬ টি অবৈধ জ্বালানী তেলের দোকান দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নগ্ন কর্মকাণ্ড ।

এর মধ্যে নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স, বা টিন সার্টিফিকেট। বন্দর থানা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ পূর্বক চালাচ্ছে তাদের গাড়ি থেকে তেল নামানোর কাজ। মহাসড়কের তেল চোরদের ভয়ে স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারন তেলচোর আবু সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিনের রয়েছে ডিবি পুলিশের শেল্টার।

মহাসড়কের ঢালে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড।

এমনকি বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ী চালকদের সাথেও রয়েছে গভীর সর্ম্পক। মহাসড়কে একের পর এক অবৈধভাবে গড়ে উঠা তেলের দোকান নিয়ে শংকিত সচেতন মহল।

সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অবৈধ জ্বালানি তেলের ব্যবসা জমে উঠেছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বন্দরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় কয়েশত অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান বসিয়ে অর্থলোভি ব্যক্তিরা ব্যবসা করছে, প্রশাসন তা দেখেও নিরব। সচেতন মহলের ধারনা অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের ফলে পরিবেশ দূষন করে আসছে।

জ্বালানী তেল চোর চক্রের হোতা আবু সিদ্দিক

পেট্রোলিয়াম এ্যক্ট, ১৯৩৪ ও তদধীন প্রনীত বিধিমালার শর্তাবলী অনুসারে কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠাকালের অনুমোদিত নকশা বিহীন এবং বিষ্ফোরক লাইসেন্স বিহীন অননুমোদিত স্থানে বা আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেলের ডিপো বা দোকান স্থাপন করা যাবে না। পেট্রোল- ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ণ অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

অথচ বন্দরে মুদীদোকানসহ বিভিন্ন দোকান গুলতে এই জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে যাচ্ছে সাধারন ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এমনকি কোন কাগজপএ ছাড়াই। গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর থানার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ, মদনপুর, ফুলহরসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে অস্থায়ী ও স্থায়ী অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের দেখা মিলে।

এছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি তেল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা যায় ভূয়া অনুমোদনের ডিলার ও এজেন্ট এর স্টিকার যুক্ত সাইন বোড লাগিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে। অবৈধ দোকান গুলোতে তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও ঝুকিপূর্ণ। মালবাহি ট্রাক, কন্ট্রিনার, প্রাইভেটকার, নসিমন ও বিভিন্ন পন্যবাহী গাড়ীর চালকদের কাছে এই তেলের বেশ কদর রয়েছে।

এলাকার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়ক ও মহাসড়কের পাশে এমন ধার্য্য জ্বালানী তেলের দোকান থেকে প্রতি মাসেই ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মামুন তেল চোরদের হোতা সিদ্দিক ও নাজিমুদ্দিনকে শেল্টার দিয়ে লাখ টাকা মাসোহারা আদায়ের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট ।

তাই পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষাসহ অবৈধ এমন ব্যবসা বন্ধে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সকলেই ।

শার্শায় দু’মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, আরোহী নিহত ও আহত ২