ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনামঃ
বিশিষ্টজনদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত “বাউফল সাংবাদিক ক্লাব” এর কমিটি ঘোষণা রূপগঞ্জে যানজট নিরসনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন কুয়াকাটায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে বন্দর ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল দুমকিতে গণধর্ষণের ঘটনায় অপর আসামি সিফাত মুন্সি গ্রেফতার স্কাউট পিএস চূড়ান্ত মূল্যায়নে বরিশাল বিভাগে কলাপাড়া সেরা নারায়ণগঞ্জে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল

কুয়াকাটায় পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

রানা
  • আপডেটঃ ০৬:২৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 129

পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতে

কুয়াকাটায় পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কুয়াকাটায় কর্মরত মানবজমিন ও বিজয় টিভির প্রতিনিধি এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক হোসাইন আমিরকে মহিপুর থানা পুলিশ কর্তৃক মারধরের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পাঠাবেন।

পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে এমনটি আশ্বস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে এতদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে। পুলিশ সুপারের সাথে কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছবি এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় মহিপুর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রব, কনস্টেবল আজিজ ও আল আমিন কর্তব্যরত সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে মারধর ও টানাহেঁচড়া করে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়। এ সময় সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক এ ঘটনা জানাজানি হলে কুয়াকাটা মহিপুর এলাকায় কর্মরত সংবাদ কর্মীরা থানায় ছুটে যায়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলোচনায় হোসাইন আমিরকে অহেতুক মারধর ও হেনস্তার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে উঠে আসে।

মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার নানা কৌশলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মহিপুর থানার ওসির অপসারণ এবং দোষীদের বিচার দাবী করে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়, পটুয়াখালী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাজল বরণ দাস ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফসহ নেতৃবৃন্দ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলামসহ কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বার, সাংবাদিকদের অভিযোগ শুনেন এবং গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপক গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটায় পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেটঃ ০৬:২৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

কুয়াকাটায় পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কুয়াকাটায় কর্মরত মানবজমিন ও বিজয় টিভির প্রতিনিধি এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক হোসাইন আমিরকে মহিপুর থানা পুলিশ কর্তৃক মারধরের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পাঠাবেন।

পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে এমনটি আশ্বস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে এতদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে। পুলিশ সুপারের সাথে কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছবি এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় মহিপুর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রব, কনস্টেবল আজিজ ও আল আমিন কর্তব্যরত সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে মারধর ও টানাহেঁচড়া করে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়। এ সময় সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক এ ঘটনা জানাজানি হলে কুয়াকাটা মহিপুর এলাকায় কর্মরত সংবাদ কর্মীরা থানায় ছুটে যায়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলোচনায় হোসাইন আমিরকে অহেতুক মারধর ও হেনস্তার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে উঠে আসে।

মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার নানা কৌশলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মহিপুর থানার ওসির অপসারণ এবং দোষীদের বিচার দাবী করে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়, পটুয়াখালী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাজল বরণ দাস ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফসহ নেতৃবৃন্দ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলামসহ কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বার, সাংবাদিকদের অভিযোগ শুনেন এবং গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপক গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।